লাভ-লোকসান হিসাব কষছেন ঠিকাদার, সাড়ে তিন বছরেও নির্মাণ হয়নি রেইচা-গোয়ালিয়াখোলা ব্রিজ

নিজস্ব প্রতিনিধি, বান্দরবান:

বান্দরবানের রেইচা-গোয়ালিয়াখোলা এলাকায় একটি ব্রিজ নির্মিত হলে দু’পারের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিসহ এলাকার আমূল পরিবর্তণ ঘটবে। কমবে কয়েকটি গ্রামের দূরত্ব। ব্রিজ কেন্দ্রিক বাড়বে ব্যবসা বাণিজ্য।

সাধারণ জনগণের দাবির মুখে ব্রিজটি ২০১৬ সালে ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে থাকলেও দুর্বল কারণ দেখিয়ে নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরও ব্রিজের অর্ধেক কাজও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। নির্মাণ কাজ হতাশাজনক হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ লাগবে আরও অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

এদিকে নির্মিতব্য ব্রিজটি লক্ষ্যের চেয়ে বাস্তবায়ন কম হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে ওই প্রকল্প এলাকা পরিদর্শণকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের এই ক্ষোভের কথা জানান মন্ত্রী।

এসময় মন্ত্রী বলেন, হাজার হাজার মানুষ এই ব্রিজের আশায় রয়েছে। অথচ ঠিকাদার লাভ-লোকসান নিয়ে বসে আছে। ঠিকাদার মানুষের লাভের কথা চিন্তা না করলেও একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের কথা আমাদের চিন্তা করতে হয়।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৭ মার্চ বান্দরবানের রেইচা-গোয়ালিয়াখোলা রাস্তায় সাঙ্গু নদীর উপর ২শ’ ২০মিটার পিসি গার্ডার ব্রিজের কার্যাদেশ পায় শেখ হেমায়ত আলী এন্ড ইউ টি মং (জেভি) প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন গার্ডার ব্রিজটির বরাদ্ধ ধরা হয়েছিল ১২ কোটি ৬১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। কার্যদেশ অনুযায়ী দেড় বছরের মধ্যেই ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। অথচ সাড়ে তিন বছর পার হয়ে গেলেও এলজিইডি কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারের উদাসীনতায় ব্রিজের অর্ধেক কাজও শেষ করা হয়নি। এদিকে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার আরও ছয় মাস সময় চেয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বান্দরবান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তালেব চৌধুরী জানান, এ পর্যন্ত ব্রিজের পয়ষট্টি পার্সেন্ট কাজ শেষ হয়েছে। কাজের ধীরগতি নিয়ে ইতোপূর্বে ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়েছে, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনেকবার জানানো হয়েছে। বিষয়টি মন্ত্রী মহোদয়ের নজরেও আছে। তবে ব্রিজের কাজ চলমান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন