লামায় মুরগীর ফার্মে কর্মচারীর মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল

fec-image
লামার সরই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কিল্লাছডা এলাকায় জনৈক রফিকের মুরগীর ফার্মে মো. শামীম (১৭) নামে এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে নিহতের বাবা মো. জাহাঙ্গীর আলম। সে লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কালামিয়া পাড়ার মো. জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টায় রফিকের মুরগীর ফার্মে এই ঘটনা ঘটে। তবে শামীমের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে এলাকায় স্থানীয়দের মাঝে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতের পিতা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বৈদ্যুতিক শকে ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে রাত সাড়ে ১০টায় আমি লোহাগাড়া পদুয়া সরকারি হাসপাতালে যায়। সেখানে গিয়ে ছেলের লাশ দেখতে পাই। পরে লোহাগাড়া পুলিশ আমার কাছ থেকে স্বাক্ষর রেখে ছেলের লাশ আমাকে দিয়ে দেয়। রাত ২টায় লাশ নিয়ে বাড়িতে পৌঁছায়। রোববার সকাল ১০টায় লাশের দাফন-কাপন করি।
তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে ১০/১২ দিন আগে রফিকের মুরগীর ফার্মে কাজে যায়। ছেলের মৃত্যুর সংবাদে সেখানে গেলে তারা আমাকে জানায় আমার ছেলে বৈদ্যুতিক শক হয়ে মারা গেছে। মোরগকে পানি দিতে গেলে বিদ্যুতের ছেঁড়া তারের সাথে লেগে তার মৃত্যু হয়।
মুরগীর ফার্মের মালিক মো. রফিক বলেন, আমি ফার্মে ছিলাম। বৈদ্যুতিক শক এর পর শামীমকে উদ্ধার করে মোটর সাইকেলে করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. হানিফ বলেন, ছেলেটিকে হাসপাতালে মৃত আনা হয়। আমরা রেজিস্টারে ব্রড ডেথ লিখেছি। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অমিত কুমার নাথ সে সময় উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি লোহাগাড়া থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। ময়নাতদন্ত কেন হয়নি সেটা পুলিশ বলতে পারবে।
লোহাগাড়া পুলিশের অফিসার ইনচার্জ জাকের হোসেন মাহমুদ বলেন, খবর পেয়ে লোহাগাড়া থানা পুলিশ হাসপাতালে যায়। ঘটনাস্থল লামা উপজেলায় ও নিহত ব্যক্তির বাড়িও লামায়। ময়নাতদন্ত কেন হয়নি লামা থানা ভালো বলতে পারবে, তাদের জিজ্ঞাসা করেন।
সরই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শফিউল আলম বলেন, মুরগীর ফার্মে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে মো. শামীম এর মৃত্যুর বিষয়টি পুলিশকে ফার্মের কেউ জানায়নি। রাত ১২টায় অন্য লোকের কাছ থেকে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যায়। গিয়ে শুনি তারা শামীমকে লোহাগাড়া পদুয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেছে। সেখানে লোহাগাড়া থানার পুলিশ ছিল।
Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: বিদ্যুৎ, লামা, লোহাগাড়া
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন