শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবুল মেম্বার মাসে ৪৫ লাখ ইয়াবা আনতেন: র‌্যাব

fec-image

কক্সবাজারের টেকনাফের শীর্ষ সন্ত্রাসী, ইয়াবা কারবারি ও অস্ত্র ব্যবসায়ী জাফরুল ইসলাম প্রকাশ ওরফে বাবুল মেম্বারকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ভোরে টেকনাফের কাটাখালী এলাকা থেকে প্রায় ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ও একটি বিদেশি পিস্তলসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, বাবুল প্রতি মাসে মিয়ানমার থেকে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ পিস ইয়াবা বাংলাদেশে ঢোকাতেন। তিনি টেকনাফে মাদক চোরাচালানের গডফাদার হিসেবে পরিচিত।

তিনি মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য এলাকায় ২০-২৫ জনের একটি চক্র গড়ে তুলেছিলেন।

মাদক ব্যবসার পাশাপাশি তারা এলাকায় চাঁদাবাজি, স্বর্ণ চোরাচালান, অস্ত্র ব্যবসা, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, চোরাই পথে গবাদি পশু চোরাচালান ও পাহাড় কাটাসহ আরো অনেক অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। আজ দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, ‘হত্যা-মাদকসহ অন্তত ১০টি মামলার খোঁজ পাওয়া গেছে বাবুলের নামে।

তিনি মাদক চোরাচালান ছাড়াও স্বর্ণ চোরাচালান অস্ত্র ব্যবসা এবং ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার চাঁদাবাজি এবং অন্য চোরাকাররির কাছ থেকে চাঁদা আদায়সহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। ২০২১ সালে পালংখালি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। তিনি সবসময় আত্মগোপনে থেকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং মাদক ব্যবসার কার্যক্রমসহ অন্যান্য চোরকারবারি ব্যবসা করে আসছিলেন।’

মানুষের কাছে বাবুল নিজেকে চিংড়ি ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিতেন, তবে সে মাদক ব্যবসায়ী জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন বাবুল।

তা স্থগিত করে ২০০৩-৪ সালে ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ২০০৫ সালে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেন তিনি। তখন জাবু নামের একজনকে হত্যায় তার নাম আসে। তার স্ত্রী একজন এমবিবিএস ডাক্তার। ২০০৮ সালে সর্বপ্রথম মাদকের মামলা হয় তার নামে।

পালংখালী ইউনিয়ন এলাকায় বাবুলরা প্রভাবশালী ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাবুলের বাবাও ১৯৯৬ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ওই এলাকার মেম্বার ছিলেন।’

২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে এসে কক্সবাজার শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া এক মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসীর সঙ্গে বাবুলের পরিচয় হয় জানিয়ে খন্দকার মঈন বলেন, ‘ওই সন্ত্রাসীর মাধ্যমে বাবুল প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট বাংলাদেশে নিয়ে আসতেন। পরে তার নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতেন। এ ছাড়া স্বর্ণ চোরাচালান থেকে প্রতি মাসে ২ কোটি টাকা লভ্যাংশ পেতেন তিনি।’

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইয়াবা, বাবুল মেম্বার, র‌্যাব
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন