শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় শান্তিচুক্তি হয়েছে, বাস্তবায়নও হবে: বীর বাহাদুর

bandarban-pic-2-12

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বান্দরবানে নানা আয়োজনে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ১৯ বর্ষপূর্তি পালন করা হয়েছে। শুক্রবার স্থানীয় রাজার মাঠে বেলুন উড়িয়ে চুক্তির বর্ষপূর্তি উদ্ভোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি।

অন্যদিকে শান্তি চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবীতে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ক্ষুদ্র নৃ-গাষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে র‌্যালি ও সমাবেশ করেছে। বান্দরবান জেলা পরিষদ ও জেলা আওয়ামীলীগের উদ্দ্যেগে শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা সভা করা হয়েছে।

এদিকে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী গরীব অসহায় মানুষদের বিনামুল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ কার্যক্রম এবং গরীব দুস্থ মানুষের মাঝে শীতস্ত্র এবং বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীকে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

শুক্রবার স্থানীয় রাজার মাঠে বেলুন উড়িয়ে ও ফিতা কেটে চুক্তির বর্ষপূর্তি উদ্ধোধন এবং চিকিৎসা ও বিভিন্ন সামগ্রী বিতরনের উদ্ভোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি।

পরে আলোচনা সভায় বান্দরবান ৬৯ সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন, সদর জোন কমান্ডার গোলাম মহিউদ্দিন হাওলাদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হারুনুর রশীদ,পুলিশ সুপার সনজিব কুমার রায়, পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছ, জেলা সিভিল সার্জন উদয় শংকর চাকমা জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষী পদ দাশ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

বীর বাহাদুর বলেন, শান্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় শান্তি চুক্তি করা হয়েছে। তিনি অস্ত্রের জোরে শান্তিচুক্তি করে নাই। আলোচনার ভিত্তিতে চুক্তি করা হয়েছে। চুক্তির ৪টি ধারায় ৪৮টি বাস্তবায়িত হয়েছে। ১৫টি আংশিক ও ৯টি এখনো বাস্তবায়িত করা হয়নি। মূল সমস্য ভূমি নিয়ে। সে সমস্যা সমাধানের জন্য সংশোধন করে সংসদে পাস করা হয়েছে। নতুন ভূমি কমিশন কাজ করুক আস্তে আস্তে ভূমি সমস্যা সমাধান হবে এবং আলোচনার ভিত্তিতে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি বলেন, শান্তি চুক্তির ফলে ভারত প্রত্যাগতদের পুনবাসনের জন্য টাস্কফোর্স গঠন করে ১২ হাজার ২২৩টি পরিবারকে পুনবাসন করা হয়েছে। সরকার প্রতিবছর ১৫,৫১৪,২৬৯ মে. টন খাদ্য শষ্য বরাদ্দ করে থাকে। প্রত্যাক বয়স্ক মানুষকে ২১.৭০ এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক মানুষকে ১০.৮৫ কেজি চাল বিতরণ করে আসছে। এছাড়া শরনার্থী প্রথম দফায় ৬৭৫ এবং শরনার্থী ৬৫০ ৩ হাজার টাকা দামে গাভী ও ঘর তৈরীর জন্যও ৩হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে।

সেনা রিজিয়ন সূত্র জানায়, এক হাজার গরীব দুস্থ মানুষের মাঝে শীতস্ত্র এবং দশটি বিদ্যালয়ের ৫শ ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন। এছাড়া স্থানীয় রাজার মাঠে দুদিন ব্যাপী চিকিৎসা সেবা ও বিনা মুল্য ওষধ বিতরন করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন