সরকারের উন্নয়ন কাজকে এগিয়ে নিতে প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতার বিকল্প নেই: বৃষকেতু চাকমা

APA meeting photo 2
রাঙামাটি প্রতিনিধি:

সরকারের উন্নয়ন কাজকে এগিয়ে নিতে প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা এবং স্বচ্ছতার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা।

তিনি বলেন, পরিষদের কাজের জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে হবে। পরিষদ প্রতি বছর সরকার থেকে যে পরিমাণ উন্নয়ন বরাদ্দ পায় তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য সরকারের সঙ্গে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটি সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে একটি নতুন কৌশল এবং ধারণা। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার অভিপ্রায়ে সরকার এ নতুন ধারণা প্রবর্তন করেছে। আমরা প্রকল্প বাস্তবায়ন সঠিকভাবে করতে পারলে সরকারি বরাদ্দ বাড়বে আর করতে না পারলে বরাদ্দ কমবে। একারণে জনগণের স্বার্থে এবং এ জেলার সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমাদেরকে সরকারি উন্নয়ন বরাদ্দ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

মঙ্গলবার বিকাল ৫ টায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক কার্য সম্পাদন চুক্তির উপর অনুষ্ঠিত প্রথম সভায় চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমেদ, নির্বাহী প্রকৌশলী পরাক্রম চাকমা, হিসাব ও নিরীক্ষা কর্মকর্তা আবুল মনসুর চৌধুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনোতোষ চাকমা এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরাসহ পরিষদের সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেন বার্ষিক কার্য সম্পাদন চুক্তির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে উপস্থিত সদস্য এবং কর্মকর্তাগণকে অবহিত করেন।

নির্বাহী প্রকৌশলী পরাক্রম চাকমা পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিবেদন পেশ করেন। বিগত এক বছরে কাজের অগ্রগতি বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি প্রকল্প কাজের সাফল্য ও ব্যর্থতা সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

সভায় পরিষদ সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী, হাজী মুছা মাতব্বর, স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, সাধন মণি চাকমা, অমিত চাকমা, থোয়াইচিং মারমা পরিষদের উন্নয়ন কাজের গুণগত মান সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন।

সভায় চেয়ারম্যান বলেন, প্রত্যেক ঠিকাদার উন্নয়ন কাজ এক বছরে যেটুকু করবে সেটুকু সে বিল পাবে। কাজের অতিরিক্ত কোন অর্থ ঠিকাদারকে দেয়া হবেনা। কোন ঠিকাদার যথাসময়ে কাজ করতে না পারলে সে ডিফল্টার হিসাবে চিহ্নিত হবে এবং পরবর্তীকালে কাজ প্রদানের ক্ষেত্রে তার অগ্রাধিকার বিবেচনায় আনা হবেনা। সরকারের সঙ্গে চেয়ারম্যান হিসাবে বার্ষিক কার্য সম্পাদন চুক্তির (এ্যানুয়েল পারফর্মেন্স এগ্রিমেন্ট) করার কারণে পরিষদের সকল উন্নয়ন কাজের জবাবদিহীতা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে এ এলাকার জনগণ এবং পরবর্তীতে সরকারের কাছে করতে হবে।তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন