ঘূর্ণিঝড় 'মোখা'

সেন্টমার্টিনে উড়ছে ৪ নং সতর্ক সংকেত, চলছে মাইকিং

fec-image

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সতর্কবার্তা ৪ নং সংকেত পতাকা উঠানো হয়েছে। গ্রামের অলিগলিতে চলছে মাইকিং। দ্বীপের মানুষ কিছুটা আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। দ্বীপের সাইক্লোন শেল্টারসহ স্কুল-হোটেল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এ দিকে মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সর্বশেষ সতর্কবার্তায় সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সর্বশেষ সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘মোখা’ উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে শক্তিশালী হয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। ফলে আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের বিভিন্ন ইউনিয়নের উপকূলে বসবাসকারী বাসিন্দারা। পাশাপাশি ভয়ে রয়েছে টেকনাফে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা।

এদিকে উপজেলার প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্বীপের মানুষকে সতর্ক থাকতে ইতিমধ্যে বলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে দু’টি সাইক্লোন শেল্টারসহ আরো ২০-২২ টি স্কুল ও দ্বিতল ভবনগুলো। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীও। সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া সকল ফিশিং ট্রলার ও স্পীড বোটগুলো নিরাপদ স্থানে নোঙ্গর করা হয়েছে।

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা নুরুল আলম জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা সম্মন্ধে অবগত হয়েছি। দ্বীপের আকাশ অন্যান্য দিনের চেয়ে হালকা মেঘাচ্ছন্ন ও গুমোট হয়ে আছে। তবে সকাল দশটা হতে ধীরে ধীরে বাতাস বইতে শুরু করেছে। তীব্র দাবদাহের পাশাপাশি সাগর উত্তাল হয়ে উঠছে। দ্বীপে কাজ করতে আসা এবং অবস্থান করা বাইরের শ্রমিকরা ইতিমধ্যে দ্বীপ ছেড়ে গিয়েছে। অতীতের মতো দ্বীপবাসীর মনোবল ঠিক আছে। দ্বীপবাসীর প্রতি আল্লাহর রহমত রয়েছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে সকল উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। পরিষদের সকল সদস্যদের নিয়ে জরুরি সভা এবং নিজ নিজ এালাকায় অবস্থান করে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

ইতোমধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপে হোটেল-মোটেলসহ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষ করে দ্বীপের বাসিন্দাদের সচেতনতার পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য আগে থেকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। পাশাপাশি দ্বীপে সিপিপির স্বেচ্ছাসেবী সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: মাইকিং, সংকেত, সতর্ক
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন