কক্সবাজারে জমে উঠতে শুরু করেছে শীতের বাজার

কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজার জেলাব্যাপী কয়েকদিন আগে থেকেই আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে শীত। গতকাল থেকেই হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে। শীত থেকে বাচঁতে গরম কাপড়ের চাহিদা বাড়ছে। জেলার ব্যস্ততম বানিজ্য কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারে তাই গরম কাপড় বিক্রির ধুম পড়েছে গত কয়েক দিনে।

বাজারে আগত ৭/৮টি ইউনিয়নের জনগণ ভীড় জমাচ্ছেন বিশেষ করে ফুটপাতের মুল্যের সাশ্রয়ী গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। কারণ অগ্নিমূল্যের এ বাজারে কমদামে বাহারী এবং মানসম্মত শীত বস্ত্র পাবার স্থান স্থানীয় ভাসায় ‘‘টাল কোম্পানী’’ নামক দোকানগুলো। বাসষ্টেশন, ডিসি রোডের দু’পাশের বিভিন্ন ফুটপাত, পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সামনে, কৃষি ব্যাংক ভবনের নিচে, অটবি শো-রুমের সামনে, মাতবর মার্কেট হোটেল নিউ ফোর স্টার চত্ত্বরসহ বিভিন্ন স্থানের গরম কাপড় ব্যবসায়ীরা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ‘‘ডিজিটাল সিস্টেমে’’ বেচা-বিক্রিতে চমক দেখাচ্ছেন।

বৃহত্তর ঈদগাঁও এলাকার ৭/৮টি ইউনিয়নের জনসাধারণ বাজারে এসে বিক্রেতাদেরকে মোবাইল নাম্বার দিয়ে যাচ্ছেন। বিক্রেতারা নাম ঠিকানাসহ তা খাতায় এট্রি করে রাখছেন। কাপড়ের নতুন ‘‘গাইট’’ খোলা হলে গ্রাহকদেরকে মিসকল্ দিলেই গ্রাহকগণ কল্ ব্যাক করে নতুন গাইট খোলার খবর পেয়ে গরম কাপড় কেনার জন্যে বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসেন। কারণ নতুন গাইট খুললে মানসম্পন্ন ও আনকমন জ্যাকেট, ব্লেজার, মাফলার, টুপি, গেঞ্জি, চাদর, প্যান্টসহ রকমারী শীত বস্ত্র পাওয়া যায় বলে জানালেন একাধিক ক্রেতা। অন্যথায় বাছাই হয়ে গেলে এসব পাওয়া যায়না। তখন আবার বিক্রেতার মিসকল ও টাল খোলার অপেক্ষায় থাকতে হয়।

জালালাবাদ ফরাজী পাড়ার নাছির উদ্দিন জানান যে, এসব গাইট সর্বস্ব দোকানে কমদামের মধ্যেই বাচ্চাদের রকমারী কাপড় থেকে মহিলা ও পুরুষদের বাহারী শীতবস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে। কাপড় বাছাই, পছন্দ ও দামাদামিতে মগ্ন রশিদ নগর নাছিরাবাদের পানির ছড়া গ্যারেজের নাছিমা আক্তার, ঈদগাঁও উত্তর মাইজপাড়ার আয়েশা বেগম ও মরিয়ম আক্তার, জাগির পাড়ার আলী আহমদ ও সাজু আক্তার প্রমুখ ক্রেতাগণ জানান যে, আগে বিক্রেতাকে মোবাইল নাম্বার দিয়ে রেখেছিলাম। গাইট খোলার খবর পেয়ে দলে বলে এসে ১০/১৫টা কাপড় কিনে ফেলি সাশ্রয়ী মূল্যে।

বিক্রেতা নজরুল ইসলাম দাবী করেন যে, বিভিন্ন অভিজাত গ্যাস ফিটিংস, টাইলস্ মোড়ানো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দোকানে টাল থেকে কাপড় নিয়ে ফিনিশিং করে উচ্চ মুল্যের স্টিকার সাঁটানো হয়। গত কয়েক দিনে ডিজিটাল সিস্টেমের বেচাবিক্রি বেশ জমে উঠেছে বলে জানান একাধিক ক্রেতা। নিম্নআয়ের জনগণ থেকে উপর তলার সবাই আসতেছেন মান সম্মত পোষাকের আশায়। সবাই ধন্যবাদ দিচ্ছেন টাল এ মার্কেটিং সিস্টেমকে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন