ভাঙনের মুখে বাঙালী ছাত্র পরিষদ: শাওনকে অব্যাহতি ও খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির কার্যক্রম স্থগিত, পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের আভাস
মুজিবুর রহমান ভুইয়া, খাগড়াছড়ি থেকে :
অবশেষে ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে পার্বত্য বাঙালীদের জনপ্রিয় সংগঠন পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ। যার প্রথম বলি পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো: ইসমাইল নবী শাওন।
আন্দোলনে ব্যর্থতা, দলের মধ্যে কোন্দল ও সংঘাত বন্ধ করতে না পারা, নিজে দলীয় কোন্দলে জড়িয়ে পড়াসহ নানা অভিযোগ এনে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইসমাইল নবী শাওনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একই সাথে খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সকল কার্যক্রমও স্থগিত করা হয়েছে। পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মো: মোমিনুল ইসলামকে। সে সাথে অভিযোগ তদন্তে শেখ মো: রাজুকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। টানা দুই দিন ব্যাপী উপদেষ্টা কমিটি ও কেন্দ্রীয় বাঙালী ছাত্র পরিষদের বৈঠকে এই সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়িতে গত ১০ আগষ্ট তারিখের ঘটনার তদন্তে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা শেখ আহমেদ রাজুকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটিকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিত করবে সংগঠনের সিনিয়ররা ।
একই সাথে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র মো: আলমগীর কবীরকে গত ৮ সেপ্টেম্বর তারিখে উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের মধ্যে গ্রুপিংয়ে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমান পাওয়ায় তাকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় সভায়।
এদিকে বারবার চেষ্টা করা হলেও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র মো: আলমগীর কবীরের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের আভ্যন্তরীন কোন্দলকে কেন্দ্র করে সম্প্রতিককালে খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এ সংকট নিরসনে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা কমিটি ও পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যৌথসভা গত শুক্রবার ও শনিবার দুই দিনব্যাপী ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।
দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মো: আলকাছ আল মামুন ভুইয়া।
বৈঠকে বাঙালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইসমাইল নবী শাওনের বিরুদ্ধে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে দুর্নীতি, কোন্দল সৃষ্টি, সংঘাত তৈরী ও সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডসহ নানা অভিযোগ রয়েছে বলে জানান প্রকৌশলী মো: আলকাছ আল মামুন ভুইয়া।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মো: আলকাছ আল মামুন ভুইয়া পার্বত্য নিউজকে বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে দায় স্বীকার করে শাওন পদত্যাগ পত্র জমা দেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে। এর ভিত্তিতে বাঙালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইসমাইল নবী শাওনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ও বাঙালী ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাঙালী ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলার সিনিয়র এক নেতা পার্বত্য নিউজকে বলেন, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের বিগত নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী এক সময়ের প্রভাবশালী শিবির নেতা ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মো: আলকাছ আল মামুন ভুইয়া পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদকে শিবিরের এক্সটেনশন পার্টিতে পরিণত করেছে।সার্র্বজনীন বাঙালী সংগঠনে পরিণত হতে দেয়নি। এনিয়ে সংগঠনের মধ্যে অনেকদিন ধরেই ক্ষোভ বিরাজ করছিল। তাছাড়া শিবির নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় অন্যান্য জাতীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো বাঙালী ছাত্র পরিষদের উপর থেকে তাদের সমর্থন, সহযোগিতা ও পৃষ্টপোষকতা সরিয়ে নেয়। ফলে সংগঠনটির কার্যক্রমে ভাটা দেখা দেয়।
এদিকে বাঙালী ছাত্র পরিষদ থেকে বহিস্কৃত গ্রুপটি পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে বেশ কয়েকটি সূত্র পার্বত্য নিউজকে নিশ্চিত করেছে। ফলে ভাঙনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ।
আলকাছ মামুন জনবিচ্ছিন্ন একজন মানুষ। রাজনৈতিক কোন ভিত্তি তার নেই। শিবিরের ছেলে দিয়ে বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ করা যায় কিন্তু রাজনীতির মাঠে টিকে থাকা যায়না। এ সংবাদটির মধ্য দিয়ে তা প্রমানিত হলো।
তাইন্দংয়ের আলকাছ মিয়া চাইলেইতো আর আলকাছ আল মামুন ভুইয়া হতে পারেনা। যার সংগঠন করার পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য লুকিয়ে থাকে সে কখনোই অগ্রসরমান হতে পারেনা।
আলকাছ মিয়ার জনপ্রতিনিধি হওয়ার খায়েস এর কি হবে ?
NORNETE BAJDER POSROY NA DAOATAY AJ ENG.MAMAUNAR OPURAD;MAMUNAR PASA BANGALERA ASCA THAKBA;”MONAPIK DAR POTON HOUKE”