দীঘিনালায় ৮১২ বাঙালি পরিবারের ৪ হাজার একর জমি জবর দখল
নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ৮১২ পরিবারের ৪ হাজার ৬০ একর জমি জবর দখলের প্রতিবাদে সহ্রাধিক বাঙালি নারী-পুরুষ মানববন্ধ, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্বারকলিপি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনে দীঘিনালা উপজেলার সোনামিয়া টিলার নিজস্ব বন্দোবস্তকৃত ভূমি থেকে উচ্ছেদ হওয়া ৮১২ পরিবার খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাঙালি ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাঈন উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এসএম মাসুম রানা, সেনামিয়া টিলার বাসিন্দা আব্দুল খালেক, মো. শাহজাহান, সোহাগ তালুকদার ও মো. সাইফুল ইসলাম।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ১৯৮৩-৮৪ সালে দীঘিনালার সোনামিয়া টিলায় খাস জমিতে ৮১২ পরিবারকে ৫ একর করে ৪০৬০ একর জমি বন্দবস্ত দেওয়া হয়। পরবর্তিতে শান্তিবাহিনীর ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে পুনর্বাসিত ওই সব পরিবারকে নিরাপত্তার অজুহাতে তুলে এনে গুচ্ছগ্রামে আনার পর পাহাড়িরা পরিকল্পিতভাবে ওই ভূমিকে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে দখল করার চেষ্টা করে। এর প্রেক্ষিতে প্রশাসন স্থিতি অবস্থা জারি করলে রাষ্ট্রীয় অর্থে সোনামিয়া টিলায় একটি মহল বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে দখল পাকাপোক্ত করা পায়তানা করছে।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিলসহ জেলা প্রশাসকের কাছে পাঁচ দফা দাবিতে একটি স্বারকলিপি দেওয়া হয়।
দাবিগুলো হচ্ছে, স্বল্প সময়ের মধ্যে উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলোকে স্বস্ব ভিটায় পুনর্বাসন করা, ভিটেমাটিতে বসবাস করতে নিরাপত্তার স্বার্থে নিরাপত্তাবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করা, মন্দির, বিহারের নামে বেদখল হওয়া বাঙালিদের বন্দোবস্তকৃত জমি ফিরিয়ে দেওয়া, বাঙালিদের বন্দোবস্তকৃত জমিতে জেলা পরিষদের ও বিপন্ন সংস্থার নামে উন্নয়ন বরাদ্ধ বন্ধ করা ও সার্বিকভাবে বাঙালিদের সরকারের ঘোষিত সকল সাংবিধানিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।