আলীকদমে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ মূহুর্তে দুই প্রার্থীর শোডাউন
আলীকদম প্রতিনিধি:
বান্দরবানের আলীকদমে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সোমবার (১৮ মার্চ) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শেষ মুহূর্তে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থীই বিশাল শোডাউনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করেছে।
বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বহিস্কৃত বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালামের সাথে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জামাল উদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জনসভা না করলেও ইতোমধ্যেই মাঠ চষে বেড়িয়েছেন।
৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ উপজেলার ভোটার সংখ্যা ২৯ হাজার ৮৪ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১৪ হাজার ৪শ’ ৫১ জন ও পুরুষ ভোটার ১৪ হাজার ৬শ’ ৩৩ জন। ভোট কেন্দ্র রয়েছে ২০টি ও বুথ সংখ্যা ৮১টি।
আলীকদমে বিগত এক দশকের বেশী সময় ধরে আওয়ামী লীগের নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারণে এবারে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জামাল উদ্দিনের বিজয়ী হওয়ার পক্ষে সচেতন ভোটাররা আশাবাদ করছেন। তারা এর অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম বিগত দুইবার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থাকার পরও দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন করতে পারেন নি।
তাছাড়া তিনি বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার শাস্তি হিসেবে তাকে বিএনপি’র প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও বহিস্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি।
অপরদিকে, আলীকদম উপজেলা ও জেলা বিএনপির মূল কমিটি এবং বিএনপির মূল ধারা হিসেবে পরিচিত নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী কালামকে বয়কট করেছেন।
শনিবার (১৬ মার্চ) আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জামাল উদ্দিন তার শেষ নির্বাচনী জনসভা করেন আলীকদম আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত এ প্রার্থী ২০ দফা উন্নয়ন কর্মসূচির তিন পৃষ্ঠার একটি ইশতেহার ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, আলীকদম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শেষ নির্বাচনী জনসভা করেছেন বিএনপির বহিস্কৃত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কালাম। তিনি তাকে পুনরায় নির্বাচিত করলে এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
তবে তিনি কোন নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন নি। এ স্বতন্ত্র প্রার্থীর জনসভায় সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের কয়েকজন দলছুট ব্যক্তিকে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, নির্বাচনের পর দলছুট এসব কর্মী-সমর্থকদের বিষয়ে দলীয় ফোরামে শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।