উখিয়ার নৌকার মাঠ ঘিরে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা ফের সক্রিয় হয়ে উঠছে
উখিয়ার কুতুপালং ডি-৫ ক্যাম্পের অদুরে এবং কুতুপালং টিভি রিলে কেন্দ্রের পশ্চিমে ক্যাম্প ৭ এর পাশাপাশি ৬নং ক্যাম্পের ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসীরা। স্থানীয়দের সামাজিক বনায়নের জমি দখল করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা নিজের আস্তানা গড়ে তুলার চেষ্টা করছে বলে গোপন সুত্রে জানা গেছে। এসব সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ লোকজন।
জানা গেছে, ক্যাম্প-৭ এ গত কয়েক মাস পূর্বে দোকানে চাঁদাবাজি, সাধারণ রোহিঙ্গাদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়সহ বিভিন্ন অপকর্মকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের ২টি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসময় আইনশৃংখলাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনলেও পুনরায় সংগঠিত হয়ে উঠছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।
দীর্ঘদিন তাদের তেমন কোন তৎপরতা চোঁখে দেখা গেলেও ক্যাম্প-৭ এর একটু উত্তরে ক্যাম্প-৬ এ আবারো তাদের বিভিন্ন কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি স্থানীয় লোকজনের সামাজিক বনায়নের জায়গা দখল করে তাদের আস্তানা করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তৎমধ্যে রয়েছে ক্যাম্প-৬ এর হেড মাঝি আইয়াচ, নুর মোহাম্মদ মাঝি, মৌলভী নুরুল আমিন, জব্বর মাঝি, জাবের প্রকাশ ডাকাত জাবের, শাহেদ, কলিম, হামিদ প্রকাশ ডাকাত হামিদসহ অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গা যুবক। এ নিয়ে তাদের সাথে অনেক চেষ্টা করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী কবির আহমদ (৪৫) জানায়, তার সামাজিক বনায়নের ১(এক) একর জমি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা গাছ কেটে দখল করে নিয়েছে। খালেদা বেগমের একই ভাবে ১ (এক) একর সামাজিক বনায়নের জমি দখল করে নেয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। তারা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প ইনচার্জকে জানালেও কোন প্রকার কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে তারা জানায়।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প সহকারি ক্যাম্প ইনচার্জ রবিউল ইসলাম রবি জানায়, বিষয়টি ক্যাম্প ইনচার্জ স্যার জানেন। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।
সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প ইনচার্জ মোঃ রেজাউল করিম জানান, আমি মাত্র কয়েকদিন আগে উক্ত ক্যাম্পে দায়িত্ব নিয়েছি। তবে আমি বিষয়টি শুনেছি। নতুন করে সামাজিক বনায়নের জমি দখল করে কেউ কিছু করতে চাইলে অবশ্যই তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর রোহিঙ্গা এবং স্থানীয়দের নিয়ে যে দুরত্ব সৃষ্টি হয়েছে তা আমি সমাধানের জন্য চেষ্টা কবরো। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ক্যাম্প প্রশাসন সব সময় তৎপর রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।