পার্বত্যমন্ত্রীর আন্তরিকতার ফসল : পাল্টে যাচ্ছে দৌছড়ি ইউনিয়নের চিত্র

fec-image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দুর্গম জনপদের ইউনিয়নের নাম দৌছড়ি। শিক্ষাদীক্ষা সাংস্কৃতিক দিক থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে এই জনপদের ইউনিয়নটি। তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর এমপি’র আন্তরিকায় ইতোমধ্যে পাল্টে যাচ্ছে দৌছড়ি ইউনিয়নের চিত্র।

দৌছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবউল্লাহ বলেন, পার্বত্যমন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর এমপি মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় জনসাধারণের আস্থা ও ভালবাসায় এই দুর্গম জনপদের আনাচে-কানাচে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। যার ফলে পাল্টে যাচ্ছে পুরো ইউনিয়নের চিত্র।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে শতকোটি টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং শত কোটি টাকার চলমান রয়েছে। আগামীতে এই কাজ সম্পন্ন হলে দৌছড়ি ইউনিয়ন হবে উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মধ্যে একটি মডেল ইউনিয়ন।

দৌছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান জানান, পার্বত্য বান্দরবানের উন্নয়নের রুপকার আধুনিক বান্দরবানের স্বপ্নদ্রষ্টা বাবু বীর বাহাদুর এমপি মহোদয়ের সুনজরে দৌছড়ি ইউনিয়নের ব্রীজ, কালভার্ট, মসজিদ, মাদ্রাসা, ক্যাং, গীর্জা রাস্তাঘাট স্কুলসহ বিভিন্ন উন্নয়নমুলক প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যার ফলে এই অবহেলিত জনপদের মানুষের অর্থনীতির চাকা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখন এলাকার দ্রব্য সামগ্রী সহজেই বাজারজাত করে লাভের মুখ দেখেছে।

সরেজমিনে দৌছড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার সবচেয়ে দুর্গম জনপদের এই ইউনিয়ন আয়তনে ১৬৫ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা পাহাড়ি বাঙালি মিলে আনুমানিক ১৫ থেকে ১৬ হাজারের মতো। এই ইউনিয়নের মধ্যে রয়েছে মুসলিম, মার্মা, চাক, ত্রিপুরা, ম্রু ও খৃষ্টান সম্প্রদায়। তবে সকলে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ বলে জানালেন স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়তুন্নাহার। তাদের ভিতর কোনদিন ঝগড়াঝাটি হয়নি।

পুরো ইউনিয়নটি সীমান্ত ঘেঁষা।  বর্তমানে ইউনিয়নের মধ্যে অধিকাংশ সড়ক কার্পেটিং এর আওতায় চলে এসেছে। নাইক্ষংছড়ি উপজেলা সদর থেকে দৌছড়ি ইউনিয়ন পর্যন্ত কার্পেটিং সড়ক, বাইশারী টু দৌছড়ি ভায়া লংগদুর মুখ সড়কে ছাগল খাইয়া সড়কে খালের উপর ব্রীজ, বাকখালী নদীর উপর ব্রীজ ও সড়ক নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। তাছাড়া বাহির মাঠ, লেমুছড়ি, কুলাছি, বাইছাং ত্রিপুরা পাড়া, পাইনছড়ি থেকে টারগু পাড়া বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত সড়কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরও বিভিন্ন সড়ক, কালভার্টের কাজ চলমান রয়েছে। এতে করে দুর্গম জনপদের বসবাসরত পাহাড়ি বাঙালি সহজেই উৎপাদিত পন্য বাজারজাত করে দিগুন আয় করে অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। বর্তমানে অর্থ নৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাহাড়ে বসবাসকারী লোকজন।

চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবউল্লাহ বলেন, পার্বত্যমন্ত্রী মহোদয়ের উন্নয়ন দৌছড়ি ইউনিয়নবাসী চির কৃতজ্ঞতা স্বীকার করবেন আজীবন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: নাইক্ষ্যংছড়ি, পার্বত্যমন্ত্রী, বাইশারী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন