পাহাড়ে অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার ও আটক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী ইউনিয়ন ও চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী জনপদ বটতলী এলাকায় থেকে যৌথবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার এবং ৫ অস্ত্রধারী আটকের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছে।
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ফটিকছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনের ১৮৭৮ এর ১৯ -এ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
এর আগে, শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গুইমারা রিজিয়নের তত্ত্বাবধানে সিন্দুকছড়ি জোন কর্তৃক বটতলী, দক্ষিণ কাঞ্চননগর এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনীর একটি দল। সে অভিযানে ৫ জন পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসী আটকসহ বিপুল পরিমাণে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং আইইডি সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। তার মধ্যে রয়েছে – ১টি একে-৪৭ রাইফেল (৭ রাউন্ড এ্যামোনিশন এবং ১টি ম্যাগাজিনসহ, ১টি এম-১ রাইফেল (২৪ রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিনসহ), ১টি একে-২২ রাইফেল (আনুমানিক ২০০ রাউন্ড এ্যামোনিশনসহ), ৪টি মর্টার, ১টি ৭.৬৫ মি.মি. পিস্তল-চায়না (৩ রাউন্ড এ্যামোনিশনসহ), ১টি এলজি লং ব্যারেল রাইফেল (৩৬টি এলজি কার্তুজ), ১টি এলজি সর্ট ব্যারেল রাইফেল, বিপুল পরিমাণ আইইডি সরঞ্জামাদি এবং ব্যবহৃত ইউনিফর্ম। পরে উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও আটক মগ লিবারেশন পার্টির ৫ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনের ১৮৭৮ এর ১৯-এ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় এজাহারভুক্তি আসামিরা হলো- প্রদীপ মারমা (২৫), পিতা-মৃত আপ্রুসি মারমা, মাতা-আঞ্জলী বড়ুয়া, সাং-দেবাতলী, চহলা মারমা (২১), পিতা-কংক্য মারমা, মাতা-মানু মারমা, সাং-কুমারী, মম্প্রতলী, দেবাতলী, উসাজাই মারমা (২১), পিতা-ক্যউ চিং মারমা, মাতা-অং ক্রয় মারমা, সাং-দাইজ্জাপাড়া, রাঙ্গাপানি, ইউনিয়ন তিনটহরী, মানিকছড়ি, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা। উমং সিং মারমা (২২), পিতা-মনু সিং মারমা, মাতা-কামা, সাং-রওজাপাড়া, ২নং ওয়ার্ড, রেইচা ইউপি, থানা-বান্দরবন সদর, জেলা-বান্দরবন ও অংথোয়াইচিং মারমা (২৫), পিতা-থুইবাই মারমা, মাতা-ছুটিমা মারমা, সাং-তুনুকছড়ি, থানা-বিলাইছড়ি, জেলা-রাঙামাটি পার্বত্য জেলাসহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
