আলীকদম ইউপি কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ প্রদানের ৮ মাসেও শুরু হয়নি

লামা প্রতিনিধি

বান্দরবান পার্বত্য জেলার আলীকদম ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ কার্যাদেশ প্রদানের আট মাসেও শুরু হয়নি। অপরদিকে চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজে নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় জনসাধারণ।

এলজিইডির আলীকদম উপজেলা প্রকৌশলী হেলালুর রহমান জানিয়েছেন, ভূমির জটিলতার কারণে আলীকদম ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। কার্যাদেশ মোতাবেক আগামী ১১ নভেম্বর ভবন নির্মাণ কাজ সমাপ্তের সর্বশেষ তারিখ।

এলজিইডি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিটি ৭৪ লক্ষ টাকা চুক্তি মূল্যে মেসার্স নজরুল কন্সট্রাকশন নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে আলীকদম ও চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ প্রদান করে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও বান্দরবান আসনের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এমপি উভয় ইউপি ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। কার্যাদেশ প্রদান ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের ৮ মাস অতিবাহিত হলেও আলীকদম ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়নি।

কার্যাদেশ মোতাবেক আগামী ১১ নভেম্বর ভবন নির্মাণ কাজ সমাপ্তের সর্বশেষ তারিখ। বর্তমানে আলীকদম সদরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গায় অবস্থিত ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যক্ত ভবনে ইউনিয়ন পরিষদের দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে। আলীকদম ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন জানান, মাটি কেটে ভূমিকে সমতল করে দিলে নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে।

অপরদিকে চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ কাজে নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় জনসাধারণ। এলজিইডির ল্যাবরেটরি টেস্টে পরীক্ষিত ও অনুমোদিত নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না করে খুবই নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। ল্যাবরেটরি টেস্টে পাঠানো ও ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রী একই মানের নয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

বেইজ ঢালায়সহ ভবনের অন্যান্য নির্মাণ কাজের গুণগত মান খুবই খারাপ বলে অভিযোগকারীগণ জানান। সম্পাদিত কাজের গুণগত মান নিশ্চিতের জন্য উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি তুলেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। চৈক্ষ্যং ইউপি ভবন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি কাগজে কলমে ৮০% দেখানো হয়েছে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মো. আব্দুর শুক্কুর জানান, নিন্মমানের কাজ ও নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ সঠিক নয়। কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী চাহ্লাউ চাক জানান, মান বজায় রাখার জন্য আমরা চেষ্টা করেছি।

এলজিইডির বান্দরবান জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন চাকমা সাংবাদিকদের জানান, কাজের গুণগত মান দেখা ও তদারকির দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের। তথাপি গুণগত মান বজায় রাখার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের বলা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন