উসরী ভান্তে প্রতিরাতে দুই কিশোরীকে নিয়ে ঘুমাতো, কথা না শুনলে মারধোর করতো- জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে কিশোরীরা

ততততত

স্টাফ রিপোর্টার:

মিয়ানমার থেকে উদ্ধারকৃত পাচার হওয়া ১১ মারমা কিশোরী পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, প্রতিদিন বৌদ্ধ ভিক্ষু উসিরি তাদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। অনেক সময় দু’কিশোরীকে উসরির দু’পাশে শুইয়ে থাকতে হতো। সে যখন যাকে ডাকত তারা তার শয্যাসঙ্গী হতে বাধ্য হত। অন্যথায় মারধরের করা হত। পাচার হওয়া কিশোরীরা পুলিশের কাছে শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করে এসব তথ্য জানিয়েছে সূত্র জানিয়েছে।

এদিকে বান্দরবানের রোয়াংছড়ির ১১ পাহাড়ী কিশোরী মিয়ানমারে পাচারের ঘটনায় আটককৃত বৌদ্ধ ভিক্ষু উসিরিসহ ২ পাচারকারীকে সোমবার ৩দিনের রিমাণ্ডে নিয়েছে পুলিশ। একইসাথে পাচার হওয়া ১১ কিশোরীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

ফলোআপ

বান্দরবান সদর হাসপাতালে ১১ শিশু কন্যাকে ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে ৫ সদস্যের মেডিকেল টিম কাজ সম্পূর্ণ করেছে। তাদের বয়স ও গর্ভবর্তী হয়েছে কিনা তা আরো অধিকতর পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

বান্দরবান সদর হাসপাতালের আরএমও বলেন, আদালতের নির্দেশে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল টিম ১১ শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও আলামত সংগ্রহ করেছে। তাদের বয়স ও গর্ভবতী হয়েছে কিনা তা আরো অধিকতর পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা ধর্ষিত হয়েছে কিনা রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে।

ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে মিয়ানমার থেকে উদ্ধার হওয়া একাধিক শিশু শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করেছে। তারা আরো বলেছে, শুধু বৌদ্ধ ভিক্ষু উসরি তাদের ভোগ করত তা না। আশ্রমের বাহিরের একাধিক পাহাড়ীরাও তাদের ভোগ করত। ভিক্ষুর কথা না শুনলে মারধোর করত। মিয়ানমারেও তাদের একই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। সেখানে তাদের আকর্ষণীয় করতে চুলে কালার করা হয়েছে।

আদালতের নির্দেশে শিশুদের চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

Bandarban pic- 20.3

তিনি আরো বলেন, বৌদ্ধ ভিক্ষু উসরি ও তার সহযোগিকে আজ দুপুরে জেল হাজত থেকে আনা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে অধিকতর তথ্য পাওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত: রোয়াংছড়ির ১৪ শিশু কন্যাকে বিনা খরচে লেখাপড়ার কথা বলে বৌদ্ধ ভিক্ষু উসিরি রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার মিতিংঙ্গ্যা ছড়ি বৌদ্ধ বিহারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারি মাসে মিয়ানমারে পাচার করে। পুলিশ প্রশাসন স্থানীয় ভান্তে উত্তমানন্দ ও ক্ষেমানন্দ এবং মুংডু শহরের প্রধান ভিক্ষু মাধ্যমে ১১ শিশুকে উদ্ধার করে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

One Reply to “উসরী ভান্তে প্রতিরাতে দুই কিশোরীকে নিয়ে ঘুমাতো, কথা না শুনলে মারধোর করতো- জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে কিশোরীরা”

  1. ফাঁসি হওয়ার দরকার, ওই বেকুরেবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন