খাগড়াছড়িতে একই রশিতে যুগলের আত্মহত্যার চেষ্টায় প্রেমিকের মৃত্যু, প্রেমিকা হাসপাতালে

fec-image

একই রশিতে গলায় ফাঁস দিয়ে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রেমিকের মৃত্যু হলেও বেঁচে গেছেন প্রেমিকা। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার সিন্দুকছড়ির মুরাপাড়া গ্রামে।

জানা গেছে, রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে গুইমারা উপজেলার সিন্ধুকছড়ির মুরাপাড়া একসঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা করে এক প্রেমিক যুগল। কিন্তু প্রেমিক পবেন জয় ত্রিপুরা (১৮) মারা গেলেও বেঁচে গেছে প্রেমিকা তিরিকা ত্রিপুরা (১৭)। পবেন জয় ত্রিপুরা মুরাপাড়ার বাসিন্দা নব কিশোর ত্রিপুরার ছেলে। সে মাটিরাঙ্গা সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। একই এলাকার বাসিন্দা খনজয় ত্রিপুরার মেয়ে তিরিকা ত্রিপুরা খাগড়াছড়ি সরকারি মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

স্থানীয়রা জানায়, এরা একে অপরকে ভালোবাসতো। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হলে কোনো পরিবারই তাদের এ সম্পর্ক মেনে নিতে সম্মত হয়নি। এ পরিস্থিতিতে রোববার সকালের দিকে সিন্ধুকছড়ি মুরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের জঙ্গলে আম গাছের সঙ্গে প্রেমিকার ওড়নায় গলায় ফাঁস দেয় ওই যুগল। এসময় প্রেমিক মারা গেলেও ওড়না ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে যায় প্রেমিকা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহত অবস্থায় কলেজ ছাত্রী প্রেমিকা তিরিকা ত্রিপুরাকে উদ্ধার করে মহালছড়ি উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গুইমারা থানার ওসি রাজিব চন্দ্র কর বলেন, প্রাথমিক তদন্তে পারিবারিক কলহ ও প্রেমের বিষয়টি পরিবার মেনে না নেয়ার কারণে অভিমান থেকে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। নিহত পবেন ত্রিপুরার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদেন্তর খাগড়াছড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ দিকে খাগড়াছড়ি সদরের বাস টার্মিনাল এলাকায় অজ্ঞাত কারণে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন আব্দুল মোতালেব (২৯) নামের এক শ্রমিক। এছাড়াও পারিবারিক কলহের জেরে জেলা সদরের কমলছড়িতে পদ্মা দেবী ত্রিপুরা (২০) নামে এক কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ জানায়।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আত্মহত্যা, খাগড়াছড়ি, মৃত্যু
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন