খাগড়াছড়িতে সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন

fec-image

খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগ সংবাদ সম্মেলন করেছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে জেলা আ.লীগের দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, ” বিএনপির নেতা ওয়াদুদ ভূইয়ার নেতৃত্বে বিএনপি, জামাত ও চরমোনাইর গুন্ডা বাহিনী দেশীয় অস্ত্র দা, ছড়ি, কান্টা, কিরিচ, রিভলভার নিয়ে ঈদগাহ মাঠ অতিক্রম করে অতর্কিতভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে ৫০/৬০ জন নেতাকর্মীকে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম করেছে। এতে শিক্ষানবীশ আইনজীবী ইকো চাকমা আদালতে আসার পথে এবং জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আজম গুরুত্বর আহত হয়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা খাগড়াছড়ি পৌরসভা কার্যালয়ে অনাধিকার প্রবেশ করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ভাঙচুর করে, অগ্নি সংযোগ করে এবং কাউন্সিলারদের উপর হামলা করে জখম করে। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের ১০/১২ জন নেতা কর্মী মৃত্যু সাথে পাঞ্জা লড়ছে “

ঘটনাস্থলে পুলিশের নিস্ত্রিয়তা প্রসঙ্গে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, হামলার সময় পুলিশ গালিফতি করেছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হবে। পুলিশের গাফিলতি থাকলে তারাও রেহাই পাবে না।

সংবাদ সম্মেলনে এই বর্বরোচিত হামলার বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে আওয়ামী লীগ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বডুয়া, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মংসুইপ্রু চৌধুরী ও যুগ্ম সম্পাদক এড. আশুতোষ চাকমা প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার খাগড়াছড়িতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ব্যাপক হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে সাংবাদিক ও পুলিশসহ উভয়ের অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। দুপুর ১২ টা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে।

সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছে পুলিশের এসআই মামুন। সংঘর্ষ চলাকালে খাগড়াছড়ি পৌরসভায় হামলা,ভাংচুর ও ১০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর এবং আগুন দেওয়া হয়। ঘটনার জন্য বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পরস্পরকে দায়ী করেছে।

খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এম এন আবছার অভিযোগ করেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পদযাত্রায় অংশ নিতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত হওয়ার প্রাক্কালে আওয়ামী লীগ বিনা উস্কানীতে হামলা চালিয়ে ভাংচর করেছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের বিএনপির নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে। এতে বিএনপির ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

অপরদিকে জেলা যুব লীগের সাধারন সম্পাদক কে এম ইসমাইল হোসেন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির সরকারের উন্নয়ন বিরোধী কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে খাগড়াছড়ি শহরের অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তারা আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা চালিয়ে অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করেছে।

নিউজটি ভিডিওতে দেখুন:

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী লীগ, খাগড়াছড়ি, বিএনপি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন