খাগড়াছড়িতে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলন সম্পন্ন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলন খাগড়াছড়িতে সম্পন্ন হয়েছে।
“পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের লড়াইয়ে পাহাড়ের অগ্নিকণ্যা হয়ে আবির্ভুত হোন” শ্লোগানে খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভর এলাকার ঠিকাদার সমিতি ভবনের হলরুমে সকাল ৯টায় এ সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কণিকা দেওয়ানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সমন্বয়ক প্রদীপন খীসা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সহ সভাপতি জ্যোৎস্না রাণী চাকমা, সাজেক নারী সমাজের সভাপতি নিরূপা চাকমা, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সদস্য রমিতা চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সদস্য সচিব রিপন চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি থুইক্যচিং মারমা। হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রীনা দেওয়ান সম্মেলন পরিচালনা করেন।
খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন শাখা থেকে প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকরা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলন শুরুতে অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রিনা চাকমা। শোক প্রস্তাব শেষে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নারীদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। শুধুমাত্র নারী অধিকার নিয়ে আন্দোলন করলে হবে না, সমাজ ও জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামেও নারীদেরকে বলিষ্ট ভুমিকা পালন করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত নারী নির্যাতন, ভুমি বেদখলসহ পাহাড়ি জনগণের উপর নিপীড়ন-নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। সরকার সংবিধানের বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের ভিন্ন ভাষাভাষি জাতি ও জনগণের উপর বাঙালি জাতীয়তা চাপিয়ে দিয়েছে। সকল নিপীড়ন-নির্যাতন ও অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য নারীদেরকে আরো বেশি সোচ্চার হতে হবে।