আলীকদমে ইকো’র ঔষধিপণ্য বাজারজাত
আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি:
পাহাড়ি জেলা বান্দরবানের আলীকদমে বেসরকারি সংস্থা ইকো ডেভেলপমেন্টের সহযোগিতায় সৃজিত ঔষধি বাগানে সুফল পাচ্ছে স্থানীয়রা। উপকারভোগিরা উৎপাদিত ঔষধিপণ্য বাজারজাত শুরু করেছেন।
বেসরকারী সংস্থা ইকো’র ইকোনোমিকেল ইম্পাওয়ারমেন্ট অব জুমিয়া পিপলস্ ট্রট মেডিশনাল প্লান্ট কাল্টিভেশন (ইইজেএমপি)’র ú্রকল্প ব্যবস্থাপক থুহ্লাখই মারমা বলেন, পরিবেশ ও বন রক্ষায় জুমচাষের বিকল্প হিসেবে ঔষধি বাগানের প্রতি স্থানীয়দের উৎসাহিত করতে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। এ প্রকল্পের উপকারভোগিরা এখন ঔষধি বাগানের সুফল পেতে শুরু করেছেন।
ইকো ডেভেলপমেন্ট জানায়, বর্তমানে উপকারভোগিদের ৩০ একর ঔষধি বাগানের ঔষধি গাছ-গাছড়া উৎপাদনমূখী হয়েছে। পরিবেশ ও বন রক্ষায় জুমচাষের বিকল্প হিসেবে ঔষধি বাগানের প্রতি স্থানীয়দের উৎসাহ সৃষ্টিতে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। গত ২০১২ সালে উপজেলায় ইকো ডেভেলপমেন্ট ১০০ জন উপকাভোগী সদস্য নিয়ে ঔষধি বাগানের চাষ শুরু করে। ঔষধি বাগানে উৎসাহী করতে সংস্থা থেকে বিনামূল্যে বীজ বিতরণ ও কারিগরি সহযোগিতা দেয়া হয়েছে। ইইজেএমপি প্রকল্পের মাধ্যমে সংস্থাটি জুমচাষীদের পাহাড়ী ভূমিতে ঔষধি চাষ সম্প্রসারণে কাজ করছে। মনিটরিং কর্মকর্তা চাচিংউ মারমা বলেন, ঔষধি গাছের চারা সঠিকভাবে পরিচর্যাকরণে নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করে চাষীদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উপকারভোগি সদস্য মংহ্লাচিং মারমা বলেছেন, ঔষধি বাগানে অর্শ্বগন্ধা, কালোমেঘ ও শিমূল চাষ করে লাভবান হয়েছি। এ পর্যন্ত এক হাজার কেজি বাসকপাতা বিক্রি করেছি। বর্তমানে শুকনো কালোমেঘ এক মেট্রিকটন ও ৫০ কেজি বীজ মজুদ আছে। ঔষধি বাগান উৎপাদনমূখী হওয়ায় উপকারভোগিরা লাভবান হচ্ছেন।
ইকো ডেভেলপমেন্টের ইইজেএমপি প্রকল্পের মার্কেটিং কর্মকর্তা প্রুনুমং মারমা বলেন, বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত ঔষধ কোম্পানি স্কয়ার, একমি ও শক্তি ঔষধালয় ইকো’র ঔষধি গাছ-গাছড়া কিনে নিয়ে যাচ্ছে। বহুমুখী বাজারজাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।