খাগড়াছড়ির সাংবাদিক পলাশ বড়ুয়া আর নেই, এলাকায় শোকের ছায়া

fec-image

দৈনিক প্রথম আলোর খাগড়াছড়ি দীঘিনালা প্রতিনিধি পলাশ বড়ুয়া মারা গেছেন।

বুধবার(২ আগষ্ট) সন্ধ্যায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ২ ছেলে, স্ত্রী, আত্মীয়স্বজনসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন তিনি। তার অকাল মৃত্যতে খাগড়াছড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সাংবাদিক পলাশ বড়ুয়া খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বোয়ালখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কাঁঠালতলী এলাকার মৃত স্বদেশ বড়ুয়া ও মৃত মুক্তিযোদ্ধা সুজাতা বড়ুয়ার বড় ছেলে। তিনি পাহাড়ি জনপদে সাংবাদিকতার পাশাপাশি মানবিক স্বেচছাসেবক ও সাহিত্যিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর।

জানা গেছে, গত রোববার (৩০ জুলাই) রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় বেড়াতে গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে প্রথমে লংগদুর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থা অবনতি হলে তাকে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল ও চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে তাঁকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।

পলাশ বড়ুয়ার লাশ দীঘিনালায় পৌঁছানোর পর দাহক্রিয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে সাংবাদিক পলাশ বড়ুয়ার অকাল মৃত্যুতে খাগড়াছড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়া, সাধারন সম্পাদক আবু তাহের মুহাম্মদ, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক সৈকত দেওয়ান ও খাগড়াছড়ি টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক এইচ এম প্রফুল্ল পৃথক পৃথক শোক বার্তায় গভীর শোক প্রকাশ ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, পলাশ বড়ুয়া ছিলেন সবুজ পাহাড়ের চারণ সাংবাদিক। দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় ধরে পাহাড়ের মানুষের আনন্দ বেদনা পাওয়া না পাওয়ার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। দীঘিনালাতে তাঁর কাজের ক্ষেত্র হলেও তার লেখা প্রতিবেদনে তোলা ছবি পাহাড়ের মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। পাহাড়ের মানুষের উন্নয়নে তিনি তাঁর সাংবাদিকতা জীবনকে বিস্তৃত করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: খাগড়াছড়ি, পলাশ বড়ুয়া, শোক
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন