গুইমারায় গুচ্ছগ্রামে থাকা দিনমজুরদের তিন শতাধিক কলাগাছ কাটার অভিযোগ
খাগড়াছড়ির গুইমারায় হাফছড়ির ইসলামিক মিশনের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুচ্ছগ্রামে থাকা বেশ কয়েকজন দিনমজুরের তিন শতাধিক কলাগাছ জোর পূর্বক কেঁটে দেওয়ার অভিযোগ ঊঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জালিয়াপাড়া ইসলামিক মিশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মুনমুন সুলতানার নির্দেশে একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মামুন লোকজন নিয়ে গাছ গুলো কেটেছে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি। এসময় গাছের মালিকরা বাধা দিলে তাদের টানা হেচড়াসহ মামলার হুমকি দেন মামুন। ক্ষতিগ্রস্তরা দায়িত্বরত কতর্মকর্তা ডাঃ মুনমুন সুলতানার নিকট গেলে তিনি মামুনকে বাগানের গাছগুলো কাটার নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে বলেন, তারা যেন বারাবারি না করেন। তা নাহলে মামলা করে জেলখানায় আটক করে রাখার হুমকি দেন।
এ ঘটনা ভুক্তভোগিরা কলার ছড়া হাতে নিয়ে জালিয়াপাড়া রাস্তায় বিক্ষোভের উদ্যেশে বের হলে উপজেলা র্নিবাহী অফিসার তুষার আহমেদ ও থানার ওসি মিজানুর রহমান সকলকে মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলার অনুরোধ জানিয়ে, বৈঠবের মাধ্যমে ঘটনাটির সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন। পরে ভুক্তভোগিরা বাডিতে ফিরে যান। এছাড়াও তার চিকিৎসা সেবায় অনিহা বিষয়টি তারা এসময় তুলে ধরেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা ডাঃ মুনমুন সুলতানার বক্তব্য নিতে গেলে তিনি কোন বক্তব্য দিবেন না জানিয়ে উচ্চস্বরে গণমাধ্যমকর্মীদের মিশন থেকে ছয় ফুট দূরত্বে অবস্থান করার নির্দেশ দেন।
বাগান মালিক ও ভুক্তভোগি রহিমা বেগম, মনির হোসেন জানান, পার্বত্য এলাকার বিরাজমান পরিস্থিতিতে সরকার তাদেরকে গুচ্ছগ্রামে এনেছেন। এরপর থেকে গত ৩৪ বছর তারা সেখানে বসবাস করছেন। সরকার পূর্ণবাসন না করায় হাজার চেষ্টা করেও তারা তাদের নিজ বসতভিটায় এখনো ফিরতে পারেননি। সাবেক ডাঃ খালেদুল আজমের নিকট থেকে তিন বছরের লিজের মাধ্যমে তারা সেখানে কলাগাছ রোপন করেছেন। প্রতিবছর মামুনকে তারা সেহারে টাকা পরিশোধ করেন । ডাঃ মুনমন সুলতানা তাদের প্রতি অন্যায় করেছেন। তারা এর উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আরমান হোসাইন বলেন, পার্বত্য এলাকার বিরাজমান পরিস্থিতিতে সরকার তাদের এখানে বসিয়েছেন। তাছাড়া তারা লিজ নিয়ে কলা গাছ রোপন করেছেন।সৃষ্ট ঘটনার তদন্ত পূর্বক তিনি বিচার দাবি করেন।
সমাজ সর্দার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃ কাদের জানান, দেশের এমন পরিস্থিতিতে ডাঃ মুনমুন সুলতানা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের প্রতি যে আচারন করেছেন তাতে মানবধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। ইতিপূর্বে মসজিদের ঈমামকে ম্যাডাম না বলার অপরাধে তিনি হয়রানি করেছেন। তাকে জালিয়াপাডা থেকে অপসারণ সহ এঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন তিনি।
এবিষয়ে উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহমেদ বলেন, স্থানীয়রা বিক্ষোভের উদ্দেশ্যে সামাজিক দূরত্ব নষ্ট করে জালিয়াপাড়ায় আসে। সৃষ্ট ঘটনাটি পরে আলোচনার মাধ্যমে শেষ করা হবে মর্মে তাদের সামাজিক দূরত্বে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।