চকরিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় ব্যবসায়ী আহত: টাকা ও মোবাইল লুট

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় নিরীহ এক ব্যবসায়ীকে মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় ওই ব্যবসায়ীর কাছে থাকা ৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সন্ত্রাসীরা লুটে নেয় বলে দাবি করেছেন আহত ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।

এনিয়ে ভুক্তভোগী চকরিয়া থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক আরো ৪ থেকে ৫ জনকে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে এজাহার জমা দিয়েছেন। আহত ব্যবসায়ী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে ঘটনার পরে আহত ব্যক্তির পরিবার থানায় অভিযোগ দায়েরের এক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পরও পুলিশ কোন ধরনের প্রদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। গত ১১ আগস্ট রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নস্থ বাগগুজারা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কোনাখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মরংঘোনা এলাকার বাসিন্দা বালু ব্যবসায়ী মুহাম্মদ আবদুল করিম বালু বিক্রি করে তার পরিবার নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। বাগগুজারা ব্রিজের উত্তর পাশে তার ও তার শ্বশুর জাফর আহমদ, শ্যালিকা ও স্ত্রী রোজিনা বেগমের ১.৪০ শতক জমি রয়েছে। ওই জমিতে প্রবল বর্ষণে মাতামুহুরী নদীর বালু এসে ভরাট হয় যায়। তার পাশাপাশি মাতামুহুরী নদী থেকে বালু উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করার জন্য বিক্রি করে আসছেন। এতে মরংঘোনা এলাকার মৃত জালাল আহমদের ছেলে ইফতেখার বকুল, তার ভাই সাদ্দাম, ছৈয়দ আলম ও মৌলভী ফরিদুল আলমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কায়দায় জমিতে মজুদকৃত বালু নিয়ে যাওয়ার এবং জবরদখলের অপচেষ্টা চালিয়ে নানা ধরনের হুমকি-দমকি প্রদর্শন করে আসিতেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত গত ১১ আগস্ট রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কোনাখালীস্থ বাগগুজারা ব্রিজ সংলগ্ন আবদুর রহমানের চায়ের দোকানে বসে ব্যবসায়ী আবদুল করিম তার ম্যানেজার রায়তুলের সাথে বালুর ব্যবসার হিসাব করেন। এসময় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কথা আছে বলে দোকান থেকে বাহির করে ব্রিজের ওপরে নিয়ে যায়। ব্রিজে যাওয়া পরে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিতভাবে মারধর করে ব্যবসায়ী আবদুল করিমকে। এতে সন্ত্রাসী হামলায় তার চোখের ভ্রুতে গুরুতর জখম হয়।

ওই সময় তার লুঙ্গির মধ্যে প্যাচানো ব্যবসার ৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ও ব্যবহৃত ১৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ফোন নিয়ে নেয় বলে এজাহারে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। এসয় তার চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, ঘটনার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্তের জন্য মাতামুহুরী পুলিশ কেন্দ্রের একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: সন্ত্রাসী হামলা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন