জাপা নেতার বাড়িতে তল্লাশি, ১০ লাখ টাকা লুটের ইন্ধনদাতাকে খুঁজছে পুলিশ 

10-Luck copy

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের লালদিঘীর পাড়ের সোনালী ব্যাংক থেকে ১০লক্ষ টাকা তুলেন ফিসারীঘাটের শাহিন ফিস এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার শাহ আলম। এরপর থেকে প্রায়ই ৯ঘন্টা মোবাইল বন্ধ ছিল ম্যানেজারের। পরে ওইদিন রাত ৯টার দিকে ম্যানেজার শাহ আলম ফোন খোলেন। ফোনে তিনি অপহৃত হয়েছেন বলে শাহিন ফিস এন্টারপ্রাইজের মালিক আমির হোসেনের কাছে দাবি করেন। সে সময় তাকে উদ্ধার করার আকুতিও জানান ম্যানেজার।

পরে ম্যানেজার শাহ আলমের কথামত মালিক আমীর হোসেন আলীর জাহাল পৌঁছে। কিন্তু মালিকের কাছে বিষয়টি নাটকীয় মনে হলে তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে ম্যানেজার শাহ আলমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এতে শাহা আলম স্বীকার করেন টাকাগুলো তিনিই সরিয়ে ফেলেছেন। তবে টাকাগুলো রয়েছে ওই টাকা তাকে সরাতে নির্দেশ দেন জেলা জাতীয় পাটির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীন সিকদার। আর ম্যানেজারের এমন বক্তব্য পাওয়ার পরই লুন্ঠনের ইন্ধন দাতা রুহুল আমীনকে ধরতে পুলিশ কয়েকদফা অভিযান পরিচালনা করেছে। ‘শনিবার বিকালে সদর থানার এস আই আব্দুর রহিম ১০লাখ টাকা লুটের মুল ইন্ধন দাতা জাপা নেতা রুহুল আমিন দাবি করে এসব কথা বলেন।

ওই সময় তিনি আরও বলেন, লুট হওয়া টাকা রুহুল আমিনের কাছে রয়েছে। ওই টাকা উদ্ধার করতে তার বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশ যাওয়ার আগেই তিনি বাড়ি থেকে সরে পড়েন। তবে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শাহিন ফিস এন্টারপ্রাইজের মালিক আমির হোসেন বলেন , শাহা আলম ও তার ইন্ধন দাতার বিরুদ্ধে এজাহার জমা দেওয়া হয়েছে।

আটক ম্যানেজার শাহ আলম জানান, জাপা নেতা রুহুল আমিনের নির্দেশে তিনি টাকা সরিয়েছেন। ১০লাখ টাকা তিনি রুহুল আমীনকে দিয়েছে। এর থেকে ৫হাজার টাকা রুহুল অামীন তাকে দিয়েছে। বাকি টাকা এখনো রুহুল আমীনের কাছে রয়েছে। কক্সবাজার সদর থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, ১০লাখ লুটের ইন্ধন দাতাকে খুজঁতে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন