টেকনাফে পাহারাদারের চাকরি ছেড়ে দিতে সন্ত্রাসী হামলা, আহত বাবা-মেয়ে

fec-image

টেকনাফে সন্ত্রাসীদের মারধরে আহত হয়েছে মোহাম্মদ হোছন (৫০) নামের এক গাড়ী পাহারাদার। সে টেকনাফ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড নাইট্যং পাড়ার মৃত নবী হোছনের ছেলে।

সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৫ টার সময় বাস টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পিতাকে রক্ষা করতে গিয়ে হেনস্থা শিকার হয় দুই মেয়ে ফাতেমা বেগম ও রোজিনা আক্তার।

এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। আহত মোহাম্মদ হোছন জানান,” সে একজন পেশায় পাহারাদার। টেকনাফ পৌরসভাস্থ বাস টার্মিনাল পার্কিংয়ে হাসিম, নুর মোহাম্মদ ও জাহাঙ্গীরের অধীনে ৮টি গাড়ী দীর্ঘ দিন যাবত পাহারাদার হিসেবে দেখাশুনা করে আসছে । টেকনাফ পৌর সভার নাইট্যং পাড়া ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দিল মোহাম্মদ দিলুর জামাতা ও করিমুল্লাহ প্রকাশ কালাইয়ার ছেলে ইদ্রিস (৩৫), মৃত হাবিরান”র ছেলে নুরুসহ (৫০) কিছু দিন ধরে পুরাতন বাস টার্মিনালের গাড়ীর পাহারাদারের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দিয়ে আসছিল । এমনকি উক্ত চাকরি ছেড়ে না দিলে আমাকে হত্যা করবে বলেও হুমকি দেয়।

তারই ধারাবাহিকতায় ৩১ জুলাই বিকাল ৫ টার সময় আমি নাইট্যংপাড়া পুরাতন বাস টার্মিনালের ভেতরে গাড়ী পাহারা দেওয়ার সময় ইদ্রিস’র নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জন সন্ত্রাসী কাঠের লাঠি নিয়ে আমার উপর হামলা করে এবং আমাকে কোন কিল ঘুষি ও লাথিসহ কাঠের লাঠি দিয়া এলোপাথারী আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয়।

এক পর্যায়ে ঘটনার সংবাদ পেয়ে তার দুই মেয়ে রুজিনা আক্তার ও ফাতেমা বেগম পিতাকে উদ্ধারের জন্য বাস টার্মিনালে আসলে হামলাকারীরা তাহাদেরকে ও এলোপাথারী কিল ঘুষি মেরে পরিহিত বোরকা ধরে টান হেচড়া করে শীলতাহানি করে। এবং ফাতেমা বেগম এর গলায় থাকা এক ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।

আহতের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হলে বাস টার্মিনাল এরিয়ায় পুনরায় দেখলে প্রানে হত্যা করবে বলে হুমকি ধমকি দিয়ে চলে যায়। তার সংসারে কোন ছেলে সন্তান নেই বিধায় অতিকষ্টে পাহারাদারের চাকরি করে পরিবারের ভরনপোষন নির্বাহ করেন তিনি। “

পরবর্তীতে বিষয়টি প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানিয়েছেন এবং টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরও করেছেন বলে জানান মোহাম্মদ হোছন।

টেকনাফ মডেল থানার এসআই আবু সাঈদ এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে জানিয়ে বলেন” তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। “

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আহত, চাকরি, টেকনাফ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন