পানির নিচে আমন-আউশ ধানের ক্ষেত ও বীজতলা

দীঘিনালায় পানিবন্দি হাজারো পরিবার: বিশুদ্ধ পানির সংকট, পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব

fec-image

টানা বৃষ্টিও পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার নিম্নাঞ্চল গত চারদিন যাবত নিমজ্জিত রয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছে অন্তত সহস্রাধিক পরিবার। বন্যা দুর্গত এলাকায় লোকজনের মাঝে দেখা দিয়েছে তীব্র বিশুদ্ধ পানির সংকট ও সে সাথে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব। বন্যার পানিতে ডুবে আছে আমন ও আউশের মাঠ ও শতাধিক পুকুর। মেরুং বাজারের অসংখ্য ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান এখনো পানির নিচে। আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে শতাধিক পরিবার। মানুষের চলাচলের মাধ্যম নৌকা।

এদিকে দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করেছেন পার্বত্য শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। সেনাবাহিনীও দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি চিকিৎসা অব্যাহত রেখেছে।

দীঘিনালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন জানান, বন্যায় দীঘিনালায় আমনের ৪৫৩ হেক্টর ও আউশের মধ্যে ২৮ হেক্টর জমি ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ১৮ হেক্টর বীজতলা পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলায় দেড় হাজার কৃষক ক্ষতির শিকার হয়েছেন।

সেনাবাহিনীর দীঘিনালা জোনের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর নাফিজ বলেন, ‌‌”যতদিন বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হয় ততদিন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে।”

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরাফাতুল আলম জানান, বন্যা দুর্গত মানুষের সহায়তায় ১৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান জানান, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন সড়ক কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে দীঘিনালা, বাঘাইহাট-মারিশ্যা সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও পানিতে তলিয়ে সড়ক নষ্ট হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মোবাইল টিমের মাধ্যমে সচল রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত পুরোপুরি ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ নিরুপণ করা যায় নি।

নিউজটি ভিডিওতে দেখুন:

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: দীঘিনালা, পানিবন্দি, পানিবাহিত রোগ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন