পাকুয়াখালীসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল হত্যাকান্ডের বিচার দাবি পার্বত্য যুব ফ্রন্টের

নিজস্ব প্রতিনিধি:
 পাকুয়াখালীর ৩৫ কাঠুরিয়াসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল গণহত্যার বচিার দাবি করেছে পার্বত্য যুব ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটি। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সংগঠনের বনরূপাস্থা কার্যালয়ে পাকুয়াখালী ট্রাজেডিে দিবস তথা ৩৫ কাঠুরিয়া হত্যাকান্ড দিবস উপলক্ষে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল্লাহ সবুজের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব্যাবিদ্যালয় বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম মুন্না, যুব ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় উপদেষ্ঠা কাজী মোঃ জালোয়া, রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব্যাবিদ্যালয় বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব- আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুব ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ জাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা, যুব ফ্রন্ট নেতা মাসুদ পারভেজ, রাঙামাটি জেলা সভাপতি- আব্দুর রাজ্জাক মিলন।
আলোচনা সভার শুরুতে এই নির্মম হত্যাকান্ডে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। আলোচনায় বক্তরা বলেন পাকুয়াখালী হত্যাকান্ড পার্বত্য চট্টগ্রামের বড় হত্যাকান্ডসমুহের অন্যতম। হত্যাকান্ডের দেড় যুগ পরেও সুষ্ট তদন্বত ও বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন পার্বত্য চট্টগ্রামে বড় বড় হত্যাকান্ড হলেও কোন সরকারই এসব হত্যাকান্ডের বিচার তো করেনি বরং হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছে। সরকার শান্তি চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের একদশমাংশ পার্বত্য এলাকাকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্টীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। যার ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে নির্যাতন ও হত্যা, চাঁদাবাজি দিন দিন বেড়ে চলেছে।
বক্তারা পাকুয়াখালী হত্যাকান্ডের শিকার পরিবারগুলোর ক্ষতি পূরণ ও হত্যাকারীদের বিচারের দাবী জানান।
১৯৯৬সালের ৯ডিসেম্বর এই দিনে রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাকুয়াখালী নামক স্থানে গহীন অরন্যে ৩৫জন বাঙ্গালী কাঠুরিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। পার্বত্য এলাকার বাঙ্গালীরা এই দিনটিকে পাকুয়াখালী ট্রাজেডি হিসাবে প্রতিবছর এই হত্যা কান্ডের বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবী জানিয়ে আসছে।
Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন