পেকুয়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

fec-image

কক্সবাজারের পেকুয়ায় যুবক আব্দুল মালেক প্রকাশ মালেক মাঝি (৩৫)কে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ১৩ আসামির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকালে নিহতের বড়ভাই আব্দুল খালেক বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

তবে এ মামলায় নিরপরাধ ৭ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মামলায় আসামিরা হলেন- টৈটং ইউনিয়নের গুদিকাটা এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ও পাড়ার সর্দার মোহাম্মদ আলম প্রকাশ মাহমদ মাঝি(৫০), ফজল করিমের ছেলে ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মনজুর আলম(৫০), মৃত কাছিম আলীর ছেলে মীর আহমদ(৫৫), বাহাদুর(৪৮), মীর আহমদের ছেলে রাশেদুল ইসলাম(২৫), এরশাদ (২৩), আরফাত (২১), পেকুয়া সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্লাঘোনা এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মো. তারেক (২৫), গুদিকাটা এলাকার মো. জহিরের ছেলে মো. সুজন(৩০), মো. হোছনের ছেলে মো. এহেছান(৩৪), মনজুর আলমের ছেলে মো. হারুন (২৭), মৃত মোজাহের আহমদের ছেলে বদি আলম(৪৮), এজাহার মিয়ার ছেলে সিকান্দর(৩৫) এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জন।

অভিযোগ ওঠেছে, প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে ও প্রভাবশালী পক্ষের প্ররোচনায় নিহতের পরিবারের সদস্যরা নিরপরাধ সাত ব্যক্তিকে এ হত্যা মামলায় আসামি করেছেন।

নিরপরাধ দাবি করা ব্যক্তিরা হলেন, গুদিকাটা পাড়ার সর্দার মোহাম্মদ আলম প্রকাশ মাহমদ মাঝি, স্থানীয় ইউপি সদস্য মনজুর আলম, মো. সুজন, মো. এহেছান, মো. হারুন, বদি আলম ও মো. সিকান্দর।

মোহাম্মদ আলম প্রকাশ মাহমদ মাঝির ছোট ভাই নেছার উদ্দিন বলেন, নিহত মালেকের সাথে ও তার পরিবারের সাথে আমার পরিবারের কোন বিরোধ ছিলো না। তারা আমাদের প্রতিবেশী। সম্পর্কও ছিলো ভালো। কিন্তু প্রভাবশালী একটি পক্ষের প্ররোচনায় শুধুমাত্র হয়রানির উদ্দেশ্যে আমার পরিবারের সাত সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আমার নিরপরাধ স্বজনদের এ মামলা থেকে মুক্তি দেয়া হোক।

ইউপি সদস্য মনজুর আলমের স্ত্রী মোতেহারা বেগম বলেন, আমার স্বামী নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। চার মেয়াদে তিনি ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে অহেতুক আমার স্বামী ও ছেলে হারুনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।

আসামি মো. সিকান্দারের স্ত্রী রায়হানা আক্তার বলেন, আমার স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী। তিনি গত একবছর ধরে মালয়েশিয়া আছেন। এক বছর আগে ছুটিতে এসেছিলেন। প্রায় এক দশক ধরে তিনি প্রবাসে আছেন। এলাকার মানুষ এব্যাপারে অবগত। কী কারণে এই হত্যা মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে, তা আমার বোধগম্য নয়।

মামলার বাদী আব্দুল খালেক বলেন কোন প্রতিহিংসা বা কোন প্ররোচনায় আসামি করি নাই, যাদেরকে আসামি করেছি তারা আমার ভাইয়ের হথ্যাকাণ্ডের সাথে কোন না কোনভাবে জড়িত।

এব্যাপারে মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য্য বলেন, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া এজাহার নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্তে কোন আসামির সম্পৃক্ততা প্রমাণ না পেলে তদন্ত প্রতিবেদন থেকে অব্যহতি দেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পেকুয়া, মামলা, যুবক
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন