প্রধানমন্ত্রীর উপহার রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

dc1
স্টাফ রিপোর্টার:
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন বলেছেন, পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের জন্য বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ প্রধানমন্ত্রীর উপহার। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির কথা ভেবে এ অঞ্চলে প্রযুক্তির প্রচার-প্রসারে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তারাই ধারবাহিকতায় পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানের দিকে অগ্রসর করতে বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন।

শনিবার বিকেলে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের চত্বরে আয়োজিত ৩দিন ব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সামসুল আরেফিন এসব কথা বলেন।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্তি ম্যাজিস্ট্রেট আবু শাহেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোঃ শহিদুল্লাহ, রাঙামাটি সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ মফিজ আহমদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জুয়েল সিকদার, পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ তাসাদ্দিক হোসেন কবির। এসময় মেলায় অংশগ্রহণকারীর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ট্যাকভেলীর স্বত্বধাকারী হালিম শেখ প্রমুখ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শামসুজ্জামান বাপ্পী।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন আরও বলেন, পাহাড়ে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে উচ্চ শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। কারণ কথাই আছে যে জাতি যত শিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত। সরকার পার্বত্যাঞ্চলে উন্নয়ন করতে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছে শিক্ষার্থীদের। যাতে পাহাড়ের ছেলে-মেয়েরা উচ্চ শিক্ষাগ্রহণ করে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের শ্রমিকরা দক্ষতা অর্জন না করে বিদেশে পাড়ি জমানোর কারণে তাদের অনেক কষ্ট করতে হয়। তাই বর্তমান যুগে দেশের মাটিতে দক্ষতা অর্জন করে বিদেশে পাড়ি দিলে একদিকে যেমন দেশের রেমিট্যান্স বাড়ানো যাবে ঠিক অন্যদিকে দেশের সুনাম বয়ে আনবে।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে; সন্দেহের কোন অবকাশ নেই, দেশ আজ খাদ্য স্বয়ং সম্পন্ন। বর্তমান সরকার ২৫ হাজার মেট্রিক টন চাল রপ্তানী করেছে। বাংলাদেশকে এক সময় তলা বিহীন ঝুঁড়ি বলা হতো, এখন সে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আর তা সম্ভব হচ্ছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর একান্ত প্রচেষ্টার ফলে। বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তরুণ সমাজকে কাজে লাগাতে হবে। কারণ বিশাল একটি তরুণ সমাজ বাংলাদেশে রয়েছে। ২০১৩-২০৩৩ সাল ২০ বছর পর্যন্ত সময় থাকবে বাংলাদেশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। আর এ সময়ের মধ্যে দেশকে এগিয়ে নিতে না পারলে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ আর থাকবে না।

আলোচনা সভা শেষে তিন দিনব্যাপী মেলায় অংশগ্রহনকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। পরে সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন