বাংলাদেশ -মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে রিজিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত
টেকনাফ প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক ও মানবপাচার রোধসহ উভয় দেশের বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন বিজিবির ২৫ সদস্য প্রতিনিধি দলের প্রধান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ হাবিবুল করিম, বিজিবিএম, এনডিসি, পিএসসি।
১ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় মিয়ানমারের মংডু’র এন্ট্রি-এক্সিট পয়েন্টে উভয় দেশের রিজিয়ন পর্যায়ে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিনিধিদল সন্ধ্যা ৭ টায় টেকনাফ স্থলবন্দরে পৌঁছে। পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে ২৫ সদস্য প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ হাবিবুল করিম, বিজিবিএম, এনডিসি, পিএসসি অন্য সদস্যরা হচ্ছে, কর্নেল সেলিম মাহমুদ চেšধুরী বিপি, কর্নেল এমএম আনিসুল রহমান পিএসসি,কর্নেল মো: হাবিবুর রহমান পিএসসি, মেজর আলমগীর হোসেন,লে.কর্ণেল রাকিবুল ইসলাম,কর্নেল হাসান মোর্শেদ, কর্ণেল হোসেন রেজা,কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার, কর্নেল এধারএম নাসির উদ্দিন একরাম, লে.কর্নেল আবুজার আল জাহিদ, কর্নেল কামরুল ইসলাম, কর্নেল শফিউল আজম পারভেজ, মেজর জহির উদ্দীন মো: বশর, মেজ্র মো: সাবির,মেজর আমিনুল ইসলাম ও মিয়ানমারের পুলিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থিন কো কো’র নেতৃত্বে মিয়ানমারের ১৯ সদস্য প্রতিনিধিদল।
প্রতিনিধিদলের প্রধান মিয়ানমার থেকে ফিরে টেকনাফ স্থলবন্দরে এক প্রেসবিফ্রিংয়ে বলেন, দু-দেশের মধ্যে সীমান্ত নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগে সহযোগিতা-সংক্রান্ত রিজিয়ন পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উত্থাপিত বিষয়ের ওপর দীর্ঘ আলোচনা হয়। মিয়ানমারও বৈঠকে কয়েকটি বিষয় উত্থাপন করে। এরপর পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বাংলাদেশের উত্থাপিত বিষয়গুলো সম্পর্কে আরো তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে ইয়াবা ও মাদকপাচার প্রতিরোধ, উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন, সীমান্ত এলাকায় গুলিবিনিময় বন্ধ, দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি) চালুকরণ, নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি জেলেদের সমস্যা নিরসন ও পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়গুলো বৈঠকে উত্থাপন করা হয়।
এছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে সীমান্তে মিয়ানমার তাদের টাস্কফোর্স পরিচালনা করবে বলে তিনি জানান।