বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে গুলিবিদ্ধ পিসিপি নেতা আটক: প্রতিবাদে বাঙালীদের দোকানপাট ভাঙচুর, মারধোর
স্টাফ রিপোর্টার:
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি থেকে এক চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আটককৃত ব্যক্তির নাম প্রীতিভূষণ চাকমা(২৭)। সে জেএসএস সমর্থিত পিসিপি’র বান্দরবান জেলার ভাইস প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সেনাবাহিনীর সদর জোনের অধিনায়ক লে: কর্নেল নাজমুল হক জানান, পিসিপি সংগঠনের আড়ালে প্রীতি ভূষণ এলাকায় ব্যপক চাঁদাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে। ওয়াগই পাড়ায় থেকে তাকে আটক করে আনার সময় সে সেনাবাহিনীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার পায়ে গুলি করে আটক করা হয়।
প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে পিসিপি’র সদস্যরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘেরাও করে। এসময় সেনা সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়লে পিসিপি সদস্যরা পালিয়ে যায় এবং মহিলাদের সামনে ঠেলে দেয়। পরিস্থিতি ও ডাক্তারের পরামর্শ বিবেচনা করে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে এ ঘটনার পর জনসংহতি সমিতি ও পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের নেতা কর্মী সমর্থকরা রোয়াংছড়ি ইউএনও কার্যালয় ও বাজারের বেশ কিছু বাঙালী দোকান-পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালিয়েছে। এসময় তারা বেশ কয়েকজন বাঙালীকে মারধোর করে। আতংকে ব্যবসায়ীরা দোকান পাট বন্ধ করে দেয়।
রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর সাত্তার ভুইয়া বলেন, “দোকান পাট ও ইউএনও অফিসে হামলার পর অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকায় রোয়াংছড়িতে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।”
এদিকে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি উবাচিং মার্মা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। মিথ্যে অভিযোগে অমানবিকভাবে গুলি করে প্রীতি ভূষণকে আটক করা হয়েছে”।
আগামীকাল বুধবার বান্দরবানের রাজার মাঠে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ সম্মেলনে জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধি প্রিয় লারমা সন্তু লারমা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সন্তু লারমার আগমন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে ‘জাগো পার্বত্যবাসী’ নামে একটি বাঙালী সংগঠন।
