বান্দরবানে আওয়ামীলীগ-বিএনপির সমঝোতার রাজনীতি: শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন

বান্দরবান.jpg১

স্টাফ রিপোর্টার :

বান্দরবানে সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিএনপি-আওয়ামীলীগের সমঝোতার রাজনীতি চলছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হরতাল, বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ পালন করতে দলীয় নেতা কর্মীদের পুলিশ বা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে তেমন ঝামেলা পড়তে হয়না এমটি অভিযোগ করেন দলের একধিক নেতাকর্মী।

সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে আওয়ামীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে আওয়ামীলীগ-বিএনপির মধ্যে কোন সংঘাত বা মামলার ঘটনা ঘটেনি। তবে ২০০৯ সালের মাঝামঝি সময়ে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনায় পুলিশ কাওকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

সূত্র আরো জানায়, গত ছয় বছরে বিএনপি একটি হরতালও সফল ভাবে পালন করতে পারেনি। হরতাল চলাকালে শহরের দোকান পাট আংশিক বা সম্পুর্ণ ভাবে খোলা থাকে। সকাল ১০টার পর থেকে আংশিক দোকান পাটগুলো খুলে দেয় ব্যবসায়ীরা। দূর পাল্লার গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকলেও জেলার অভ্যান্তরীণ যানচলাচল স্বাভাবিক থাকে। ব্যাংক, বীমা, অফিস আদালত, স্কুল কলেজ চলে স্বাভাবিক।

বান্দরবানে সমঝোতার রাজনীতি হলো, সকালে বিএনপি ঢিলেঢালা হরতাল পালন করে আর বিকালে আওয়ামীলীগ হরতাল বিরোধী মিছিল সমাবেশ করে।

গাজীপুর জনসভায় অনুমতি না দেওয়া ও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সিনিয়র নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ২০দলের সোমবার সকাল-সন্ধা হরতাল বান্দরবানে শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করা হয়েছে।

সকালে দোকান পাট খোলা ও শহরের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক অবস্তায় বিএনপির নেতৃবৃন্দ কয়েকজন নেতাকর্মী নিয়ে বাজার এলাকা পরিদর্শন করে। এরপর দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাজারস্থ কার্যালয়ের সামনে বিএনপির জেলা সভাপতি সাচিং প্রু জেরীর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা খোসগল্প আর ফটোসেশনে ব্যাস্ত দেখা যায়। এসময় বান্দরবান জেলা বিএনপি’র সিনিয়ার সহসভাপতি অধ্যাপক ওসমান গনি, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাকদ আবদুল মাবুদ, মহিলা দলের আহবায়িকা নিলুফা তাজ, জেলা জামায়াতের পৌর আমির গোলাম মোস্তফা তাজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ও পৌর মেয়র জাবেদ রেজা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাবিকুর রহমান জুয়েলসহ শ্রমিকদল, ছাত্রদল, যুবদলের ও সেচ্ছা সেবকদলের নেতাকমীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. কাজি মহিতুল হোসেন যত্ন জানিয়েছেন, বান্দরবানে চলছে সমঝোতার রাজনীতি। বিএনপির মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি নেতৃত্ব শূন্যর কারণে আন্দোলন সংগ্রাম জমাতে পারছেনা। মামলা হামলার ভয়ে রাজপথে থাকেনা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী বলেছেন, জেলা বিএনপির সভাপতি নেতৃত্ব শূন্যতার কারণে স্বেচ্ছাচারিতা হয়ে উঠেছেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় বিএনপির সভাপতি সাচিং প্রু জেরির ভুমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকায় সরকারের রাজাকারের তালিকায় নাম উঠার ভয়ে সরকার পতন আন্দোলন জমাচ্ছেন না। সভাপতি দলের নেতাকর্মীদের আন্দোলনে নিরুৎসাহিত করছেন।

অন্যদিকে বিকালে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মজিবর রহমানের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে হরতাল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করে। এসময় যুগ্ম সম্পাদক লক্ষি পদ দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক অজিত দাশ, শ্রমিক লীগের সভাপতি সুকত প্রিয় বড়ুয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

হরতাল চলাকালে শহরের গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্ট গুলোতে ছিল অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন