বান্দরবানে বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের নেতা পুলিশী নির্যাতনের শিকার

Rowangchhari_Upazila

মো: কামরান ফারুক, বান্দরবান থেকে:

বান্দরবানে বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের এক নেতাকে বেধড়ক পিটিয়েছে থানা পুলিশ। তাকে কোন কারন দর্শানো ছাড়া নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার সকালে সদর থানা পুলিশের এএসআই আতাউর রহমান শহরের বালাঘাটা বিলকিস বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের জেলা কমিটির অর্থ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন’কে ধরে নিয়ে গিয়ে রোয়াংছড়ি সড়কের নির্জন এলাকায় বন্দুকের বাট এবং বুট জুতা দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার হাতে কয়েকটি সেলাই করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মারধর করার পর তাকে সদর থানা হেফাজতে আটকে রাখা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৱসাধীন অবস্থায় গিয়াস উদ্দীনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, তাকে গাড়িতে করে থানায় নিয়ে আসার সময় স্থানীয় পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর মো: আবুর একটি ফোন কল অভিযুক্ত এএসআই আতাউরের মোবাইলে আসলে আতাউর পুলিশ ভ্যানটি রোয়াংছড়ির নির্জন স্থানে নিয়ে মারাত্মক ভাবে গিয়াস কে জখম করে। উল্লেখ্য, রোয়াংছড়ি উপজেলা হচ্ছে জনসংহতি সমিতি ও পিসিবির শক্তিশালী ঘাটি। এ ঘটনার পর বাঙালি ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ কাউন্সিলর আবুর সাথে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের যোগসূত্রের প্রমাণ প্রকাশিত হয়েছে বলে উল্লেখ করে। এঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে পুলিশ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার পায়তারা করছে বলেও অভিযোগও উঠেছে। এদিকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে এএসআই আতাউর রহমান স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ফেরিওয়ালার জিনিসপত্র ভাংচুরের খবর পেয়ে তাকে আটক করতে গেলে পুলিশের উপর চড়াও হয় আটককৃত গিয়াস। উল্লেখ্য বিগত কিছুদিন আগে বান্দরবানের বালাঘাটা থেকে দুই বাঙ্গালি যুবক অপহরণের প্রতিবাদে গিয়াস উদ্দীনের সক্রিয় অংশগ্রহণ দেখে বিরোধী শক্তি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। এদিকে বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের সভাপতি কামরান ফারুক জানান, পুলিশ অন্যায়ভাবে সংগঠনের অর্থ সম্পাদককে আটক করে বেধড়ক পিটিয়ে সাঁজানো মামলা দায়ের করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। রাতের মধ্যে ছেড়ে দেয়া না হলে সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে। জানা গেছে, সদর থানার এসআই আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে জনগনের উপর ক্ষমতা প্রয়োগের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। চট্টগ্রামে অর্থ কেলেংকারী এবং অন্যায়ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে এসআই আতাউর রহমান’কে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল এবং এসআই পদমর্যাদা থেকে এএসআই বানিয়ে দেয়া হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন