মহালছড়িতে সামরিক মর্যাদায় অব: মেজর মংসুইসাইংনের দাহক্রিয়া সম্পন্ন
মহালছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর মংসুই সাইংন চৌধুরীর (উনু) সিঙ্গিনালা গ্রামের পারিবারিক শ্মশানে মারমা জনগোষ্ঠির রীতিনীতি অনুযায়ী ও সশস্ত্র সামরিক মর্যাদায় দাহক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
দাহক্রিয়ায় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত সহস্রাধিক আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীসহ আরো উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, লে: কর্নেল উ কান থিন (অব:), মহালছড়ি জোন অধিনায়ক লে: কর্নেল হুমায়ুন কবির পিএসসি, মহালছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা, মানিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ম্যাগ্য মারমা, মেজর ওয়াং থিং, মেজর নুংছোমং মারমা, মেজর মো: নাছির, মং সার্কেল চীফ সাচিংপ্রু চৌধুরী, মহালছড়ি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাকলী খীসা ও ক্যাচিং চৌধুরী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মেজর মংসুই সাইংন চৌধুরী (অব:) ছিলেন মৃত্তিকা বিজ্ঞানী মৃত মংসাথোয়াই চৌধুরীর দুই পুত্র কন্যার মধ্যে একমাত্র ছেলে। তিনি শিক্ষা জীবনে কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ থেকে ২১ তম বি,এম,এ দীর্ঘ মেয়াদি কোর্সের সাথে সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরে কমিশন লাভ করেন এবং পরবর্তীতে দীর্ঘ ১৯ বছর চাকরি জীবনে থ্রি সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন থেকে ২০০৮ সালে সেচ্ছায় সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। চাকরিকালীন সময়ে তিনি নীল হেলমেটের সদস্য ছিলেন এবং ১ বছর যাবত কুয়েতের জাতিসংঘ শান্তি মিশনে অংশগ্রহণ করেছেন। সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি সিলেট মৌলভী বাজার এলাকার এক চা বাগানের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
গত ২৪ আগস্ট সোমবার দিবাগত রাতে তিনি হঠাৎ উচ্চ রক্ত চাপের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সিলেট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের পারিবারিক হিসেব মতে তিনি ৪৬ বছর বয়সে পরলোকগত হন এবং মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র সন্তান ও অনেক আত্মীয়-স্বজন রেখে যান।
বুধবার সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে সিলেট থেকে মহালছড়ি উপজেলার সিঙ্গিনালা গ্রামের বাড়িতে তাঁর মরদেহ নিয়ে আসলে আত্মীয়-স্বজনের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। বিকাল ৩ টায় মারমা সম্প্রদায়ের রীতিনীতি অনুযায়ী ধর্মীয় কার্যাদি শেষে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মহালছড়ি জোন অধিনায়ক মো: হুমায়ুন কবির পিএসসি’র নেতৃত্বে সশস্ত্র সামরিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়্।