মাটিরাঙ্গায় পার্বত্য শান্তিচুক্তির ১৭তম বর্ষপূর্তিতে বর্ণাঢ্য শান্তি র‌্যালি : চুক্তির পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়ন চায় জেএসএস (সংস্কার)

02.12.2014_Matiranga Shantichukti News Pic.. (2)
মাটিরাঙ্গা সাংবাদদাতা :

বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার জেলার মাটিরাঙ্গায় পার্বত্য শান্তিচুক্তির ১৭তম বর্ষপূর্তি পালিত হয়েছে। মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য শান্তি র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন মাটিরাঙ্গা ২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারীর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো: ইয়াছির জাহান হোসেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান মো: তাজুল ইসলাম তাজু, মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকাউল, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র আবু ইউসুফ চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মো: শামসুল হক।

সর্বস্তরের পাহাড়ী-বাঙ্গালী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্কুল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পেশাজীবিদের অংশ গ্রহণে অনুষ্ঠিত শান্তি র‌্যালিটি মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ মাঠ থেকে শুরু করে পৌর ভবন হয়ে উপজেলা পরিষদ মাঠে এসে শেষ হয়।

পরে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ মাঠে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকাউল, সাবেক চেয়ারম্যান ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মো: শামসুল হক, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চাকমা, মাটিরাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর আলম, মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিরনজয় ত্রিপুরা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন ।

পার্বত্য শান্তিচুক্তির অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়ন হয়েছে দাবী করে বক্তারা বলেন, শান্তিচুক্তির ফলে পাহাড়ে আজ উন্নয়নের স্রোতধারা তৈরী হয়েছে। দেশী-বিদেশী বিনোয়গকারী এখানে বিনিয়োগ করছে। শান্তিচুক্তির সুফল ভোগ করতে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আইন-শৃঙখলা বাহিনীকে সহায়তা করতে হবে। সেনাবাহিনী দেশের স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, সেনাবাহিনী যেকোন সময় দেশের যেকোন প্রান্তে যাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার রাখেন। কিন্তু মহল বিশেষ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করছে। সাধারণ উপজাতীয়রা মনে প্রাণে সেনাবাহিনীর পক্ষে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, পাহাড়ের সাধারণ মানুষ এখন আর কোন পেশী শক্তির কাছে জিম্মি নেই।

এ সময় আলোচনা সভায় সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা, রাজনীতিক, সাংবাদিক, জনপ্রনিধিসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানূষ উপস্থিত ছিল।

এদিকে পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবীতে স্থানীয় মারমা উন্নয়ন সংসদ ভবন এলাকায় সমাবেশে করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-জেএসএস (সংস্কার)। মাটিরাঙ্গা উপজেলা জেএসএস সভাপতি রেনুবালা ত্রিপুরা‘র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-জেএসএস (সংস্কার) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমলেশ্বর ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক কিরণ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক লোকপ্রিয় দেওয়ান প্রমুখ।

সমাবেশে চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারী বক্তব্যের বিরোধীতা করে বক্তারা বলেন, স্থানীয় পুলিশবাহিনী গঠন, রাজার‘র মাধ্যমে স্থায়ী বাসিন্দার সনদ প্রদান, ভুমি সমস্যাসহ এখনো চুক্তির মুল ধারা সমুহ বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমরা চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন চাই। জেলা প্রশাসক কর্তৃক স্থায়ী বাসিন্দার সনদ প্রদানের বিরোধীতা করে তারা বলেন, খোনে জেলা প্রশাসক নিজেই পাহাড়ের বাসিন্দা নয় তিনি কি করে স্থায়ী বাসিন্দার সনদ প্রদান করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন