মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক বিবাহিত: ৩ মাসের আহবায়ক কমিটি পার করছে ৪ বছর!

চকরিয়া প্রতিনিধি:
মাত্র তিন মাসের জন্য আহবায়ক কমিটি দেওয়া হয়েছিল কক্সবাজারের চকরিয়ার মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রলীগের। এই তিনমাসের আহবায়ক কমিটি পার করে দিয়েছে পর পর চারটি বছর। তাও আবার যাকে আহবায়ক হিসেবে দেওয়া হয়েছে তিনি বর্তমানে বিবাহিত।

এতে একেবারে ঝিমিয়ে পড়েছে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম। যার রেশ পড়েছে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনগুলোতে। এক্ষেত্রে নতুন করে সম্মেলন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন তথা তৃণমূলের ত্যাগী ও মেধাবী ছাত্রদের সমন্বয়ে মাতামুহুরী ছাত্রলীগের কমিটি গঠনেরও জোর দাবি উঠেছে।

দলীয় সূত্র জানায়, প্রায় চার বছর আগে তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলী আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের আজাদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চকরিয়ার মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রলীগের এই আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। এই কমিটির আহবায়ক করা হয় রবিউল এহেছান লিটন, যুগ্ন আহবায়ক করা হয় যথাক্রমে তানবিন ইসলাম সায়মন, হোছাইন মো. বুলবুল ও আ.ন.ম হেফাজ সিকদার।

মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রলীগের তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন, মাত্র তিনমাসের জন্য ছাত্রলীগের এই আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই তিনমাস এখন চার বছর পার করছে।

তাছাড়া যিনি আহবায়ক হিসেবে পদ আঁকড়ে রেখেছেন তিনি বর্তমানে বিবাহিত। আবার ছাত্রত্ব নেই এমনও দুইজন আছেন এই কমিটিতে। সবমিলিয়ে এই আহবায়ক কমিটি গুরুত্ব হারিয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে। তাই যত দ্রুত সম্ভব সম্মেলন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দলের জন্য ত্যাগী ও মেধাবী ছাত্রদের সমন্বয়ে নতুন নেতৃত্ব তথা মাতামুহুরী ছাত্রলীগের কমিটি গঠনেরও জোর দাবি তাদের।

তবে মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক রবিউল এহেছান লিটনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গতরাতে বলেন, ‘আমি কয়েকমাস আগে বিয়ে করেছি। তাই আমারও ইচ্ছে অতিদ্রুত সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের।

আমিও চাচ্ছি সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন হলে প্রাণ চাঞ্চল্যতা ফিরে আসবে সংগঠনে। এজন্য জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারাও বলেছেন, আগামী ঈদের পরেই সম্মেলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে।’

এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান রাশেদের সঙ্গে কথা বলার জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন