মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে ৬ মেঃ টন আম আমদানি

টেকনাফ প্রতিনিধি:

মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে ৬ মেঃ টন ৮কেজি আম আমদানি করা হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত একজন আমদানিকারক এ আম আমদানি করেছে। এ মৌসুমে মেসার্স সকিল ট্রের্ডাসের সত্বাধিকারী ব্যবসায়ী মীর কামরুজ্জামান সর্ব প্রথম ৬ মেঃ টন ৮ কেজি আম আমদানি করে।

৬ মেঃ টন ৮ কেজি আম আমদানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক কর্মকর্তা। তবে আম আমদানী ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে ১৪.৯০ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। এমনিতে আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যার কারণে বিদেশ থেকে আম আমদানি করে চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে।

টেকনাফ স্থল বন্দর শুল্ক বিভাগ জানায়, সীমান্ত-বাণিজ্যের আওতায় মিয়ানমার থেকে আম আমদানি শুরু হয়েছে। ৬ মেঃ টন ৮’ কেজি মেসার্স সকিল ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী ব্যবসায়ী মীর কামরুজ্জামান ৬ মেঃ টন আম আমদানি করেন। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, টেকনাফ বাজারে আমের দাম একটু বাড়তি। প্রতি কেজি মিয়ানমার ছোলা ১১০ টাকা। এতদিন মিয়ানমার আম আমদানি বন্ধ থাকায় স্থানীয় বাজারে আমের দাম একটু বৃদ্ধি ছিল। এখন মিয়ানমার আম আমদানি হওয়াতে বাজারে দাম একটু নাড়া দিতে শুরু করে।

টেকনাফ পৌরসভার বাজার ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ জানান, মিয়ানমার থেকে আম আমদানির ফলে আমের চাহিদা পূরণ এবং দামও সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। তাছাড়া এ এলাকায় মিয়ানমার আমের চাহিদা রয়েছে। তা দেখতে একটু সুন্দর বলে জানান। তবে এভাবে মিয়ানমার থেকে আম আমদানি অব্যাহত থাকলে স্থানীয় বাজারে আমের দাম আরো কমার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন।

টেকনাফ স্থল বন্দর শুল্ক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, দেশের খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলায় প্রতিবছরের ন্যায় আম আমদানি করছে ব্যবসায়ীরা। তবে এ মাসে মিয়ানমার থেকে আম আমদানি শুরু হয়েছে। আম আমদানির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। আম আমদানি বৃদ্ধি পেলে স্থানীয় বাজারে আমের দাম কম হবে এবং জনগণের ক্রয় ক্ষমতার নাগালে থাকবে বলে তিনি আশা করছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন