মোখার তাণ্ডবে লন্ডভন্ড সেন্টমার্টিন, উপড়ে গেছে ঘরবাড়ি
টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে মোখো তাণ্ডবে চালিয়ে লান্ডভন্ড করেছে। উপড়ে ফেলেছে ঘরবাড়ি ও ঘেরা বেড়া। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা তাণ্ডব চালায়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত করেছে। বিশেষ করে সেন্টমার্টিনে ব্যাপক ঝড়ো বাতাস হয়েছে। সেন্টমার্টিনে গাছ চাপা পড়ে দুইজনের প্রাণহানির খবর শুনা গেলেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রবিবার (১৪ মে) দুপুর ১টার দিকে মোখার তাণ্ডব শুরু হয়ে একটানা ৫টা পর্যন্ত চলে। এসময় বাতাসের গতি ১০০ কিলোমিটারের বেশি বেগে বইছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে বাতাস বইছে, সেই সাথে প্রচুর বৃষ্টি।
সেন্টমার্টিন থেকে জয়নাল উদ্দিন জানান, প্রচণ্ড বেগে বাতাস শুরু হয়। এসময় গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। অনেক বাড়ি মাটিতে হেলে গেছে। সাগর খুবই উত্তাল হয়ে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্বীপের মানুষ আশ্রয়ন কেন্দ্রে আশ্রয় নিলেও আতঙ্কে ছিল। এসময় তারা সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে স্বরণ করে ঘূর্ণিঝড় থেকে বাঁচার আকুতি জানান।
এছাড়া গত শনিবার থেকে বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ।। দ্বীপের প্রায় বাসিন্দা আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। তাদেরকে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। তবে তা পর্যাপ্ত হচ্ছে না।
সেন্টমার্টিন কোস্ট গার্ড স্টেশন কমান্ডার আবদুল মালেক জানান, কোস্ট গার্ড ভবনে ৭০ জন নারী-পুরুষ ও শিশু আশ্রয়ে রয়েছে। পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও। তাদেরকে খিচুড়ি খাবার দেওয়া হচ্ছে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, সকাল থেকে বাতাস আর বৃষ্টি হচ্ছে। সাগরের পানি আগের মতো রয়েছে এখন পর্যন্ত বাড়েনি।
এদিকে টেকনাফের বাহারছড়া, সাবরাং, শাহপরীরদ্বীপ, হ্নীলা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মোখো তাণ্ডব চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। মোখার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। অনেক স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
অপরদিকে, সেন্টমার্টিনে মোখার তাণ্ডব চলে গেলেও এখনো আতঙ্ক কাটেনি। কারণ সন্ধ্যা নাগাদ সাগরে জোয়ার হলে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে সেন্টমার্টিনের ক্ষয়ক্ষতি করেছে। তবে এখনো কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে জানা সম্ভব হয়নি।
এর আগে কক্সবাজার জেলায় ১০নং মহা বিপদ সংকেত জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।
নিউজটি ভিডিওতে দেখুন: