নাইক্ষ্যংছড়িতে মোখাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ৫ হাজার, ২৩০টি বাড়ি বিধ্বস্ত

fec-image

নাইক্ষ্যংছড়িতে ঘূর্ণিঝড় মোখাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ৫ হাজার, আংশিক বিধ্বস্ত ঘর-বাড়ির ১৮০টি, সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত বাড়ি-ঘরের সংখ্যা ৫০টি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়িস্থ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মুনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এ রিপোর্ট তৎক্ষনাৎ পাওয়া। আরো বিস্তারিত পরে জানাবেন তিনি।

এ দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ৪ নম্বর ওয়াড়ের কলা চাষি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, তার বাগানে কলা গাছ রয়েছে ৩ হাজার। সেখানে ১ হাজার কলা গাছ ভেঙ্গে গেছে। যার অধিকাংশতেই ছড়া পড়েছে। সে এখন খুবই দুশ্চিন্তায়।

সদর ইউনিয়নের পানের বরজ, কলা, আম ও পেঁপে চাষি রশিদ আহমদ বলেন, মোখার তাণ্ডবে নিজেরসহ তার ওয়ার্ডে অন্তত ২৫টি পানের বরজ সম্পূর্ণ ও আংশিক ক্ষতি হয়েছে। কলা, আম ও পেঁপে বাগানে ক্ষতি ব্যাপক আকারে হয়েছে।

ফুলতলী গ্রামের বাসিন্দা ইউপি মেম্বার শামশুল আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখাতে তার ওয়ার্ডে ক্ষতির তালিকা অনেক। কেননা এ গ্রামটি মিয়ানমার সীমান্ত ঘেষা।

এভাবে উপজেলার ৫ ইউনিয়নের ৪৫ ওয়ার্ডের অধিকাংশতেই কলা পানের বরজ, সবজি বা ধান ক্ষেত রয়েছে। তার অধিকাংশই মোখার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত। অভিজ্ঞদের মতে শতাধিক পানের বরজে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কলা বাগান, সবজি, আম ও অন্যান্য কৃষি পণ্যের অনেক ক্ষতি হয়।

কৃষি কর্মকর্তা মো. এনামুল হক বলেন, রোববার ঘূর্ণিঝড় মোখা নাইক্ষ্যংছড়িতে
আঘাত হেনেছে মোটামুটিভাবে। মারাত্মক ক্ষতি হয় নি। তবুও কলা, সবজি, পানের বরজ ও আংশিক ধানের ক্ষতি হয়েছে। যার তালিকা করতে ১/২ দিন লাগবে। এর পর বিস্তারিত জানা যাবে।

উল্লেখ্য, রোববার ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানে মূলত বেলা আড়াইটা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টা। আঘাত হাতার আতঙ্কে ৫ শতাধিক মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলো। পরে ধমকা হাওয়া ও ঝড়বৃষ্টি কমে গেলে তাদের অধিকাংশ বাড়ি ফিরে যায়। বাকিরাও সোমবার বাড়ি ফিরে।
মোখার আঘাতের পর সোমবার সকাল থেকে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নিতে মাঠে নামেন উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ, কৃষি অফিস ও পিআইও অফিস।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: নাইক্ষ্যংছড়ি, মোখা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন