মোসাদকে যেভাবে কাজে লাগাতে চান নেতানিয়াহু

fec-image

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে নিয়ে নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

ইঙ্গিত দিলেন যুদ্ধবিরতি হলেও হামাসের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে। বরং স্বাধীন ফিলিস্তিনের স্বপ্ন দেখানো হামাস নেতাদের নির্মূলে প্রকাশ করেছেন নতুন নীলনকশা, যা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে। কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে নেতানিয়াহুর এ নীলনকশা তাও জানান তিনি নিজেই।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী জানান, হামাস নেতারা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে মোসাদ। স্থানীয় সময় বুধবার যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি নিয়ে কথা বলার সময় এ সতর্কবার্তা দেন তিনি। নেতানিয়াহু জানান, এটা খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত তবে সঠিক সিদ্ধান্ত। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার, হামাস জানায় সংগঠনটির সামরিক বিভাগ আল-কাসাম ব্রিগেডের লেবানন শাখার ডেপুটি কমান্ডার খালিল আল খারাজ ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছে। দক্ষিণ লেবাননে তাকে বহনকারী গাড়িতে বোমাবর্ষণ করে তাকে হত্যা করা হয়। লেবাননের গণমাধ্যম জানায়, খারাজের গাড়িটি টায়ার উপদ্বীপের দক্ষিণে ইসরায়েলি সীমান্ত থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে চাইটিয়েহ এবং কালাইলেহের মধ্যে একটি রাস্তায় চলাকালীন সেখানে হামলা চালায় ইসরায়েল।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হয়, যুদ্ধবিরতির সময় ইসরায়ের হামাস নেতাদের হত্যার চেষ্টা করবে কিনা। জবাবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী জানান, এই যুদ্ধবিরতি অস্থায়ী হবে এবং গাজা থেকে হামাসকে নির্মূল করার জন্য ইসরায়েলি সামরিক অভিযান শেষ হয়ে গেলেও তা পুনরায় শুরু করা হবে। বলেন, যতক্ষণ না ইসরায়েল তার সমস্ত লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ চলতে থাককে। হামাসকে গাজা নিয়ন্ত্রণ করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে নেতানিয়াহু জানান, গাজা আর ইসরায়েলের জন্য হুমকি হবে না। ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ ও উত্তর গাজায় নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনবে।

২০০৭ সালে এক নির্বাচনের মাধ্যমে গাজা উপত্যকার ক্ষমতা অর্জনের পর হামাসের রাজনৈতিক শাখার ঊর্ধ্বতন নেতাদের প্রায় কেউই গাজায় থাকেন না। সংগঠনটির নেতৃস্থানীয় অধিকাংশ নেতা মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ কাতারে অবস্থান করেন। আর দ্বিতীয় সারির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অধিকাংশই লেবাননে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকেন বলে জানা যায়। এমন পরিস্থিতিতে কাতার ও লেবাননে অবস্থানরত হামাস নেতাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে মোসাদ এমন ইঙ্গিত দেন নেতানিয়াহু।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইসরায়েল, নেতানিয়াহু, ফিলিস্তিন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন