রাঙামাটি শহরে শান্তি র্যালি: বিকাল ৫টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা স্থগিত
স্টাফ রিপোর্টার :
রাঙামাটি শহরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারীদের কঠোর হস্তে দমন করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই সাথে রাঙামাটি শহরে কাণ্ঠা, মারবেল, জালের গুলতি, বর্ষাসহ আঘাত করতে সক্ষম এমন দ্রব্যাদি বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধসহ রাঙামাটি শহরে বিশৃঙ্খলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত শান্তি ও সংহতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশেষ সভায় রাঙামাটি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন এই নির্দেশ প্রদান করেন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে রাঙামাটি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শান্তি ও সংহতি সভায় রাঙামাটি সাংসদ ঊষাতন তালুকদার, মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেদওয়ান আহম্মেদ, বিজিবি সেক্টর কমান্ডার মোঃ শওকত ওসমান, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, রাঙামাটি পৌরসভা মেয়র সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ভূট্টোসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পার্বত্যঞ্চলে আসন্ন সমস্যা সমাধানে সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানিয়ে পাহাড়ী বাঙালীর সম্প্রীতি ও সোহার্দ রক্ষায় স্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে ভূমিকা রাখার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। রাঙামাটিতে ভবিষ্যতে যাতে অনাকাঙ্খিত ঘটনা সংঘটিত হতে না পারে সে জন্য প্রত্যেক পাড়ায় পাড়ায় পাহাড়ী বাঙালী নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভা শেষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রাঙামাটি শহরে উপজাতি-বাঙালীদের মধ্যে শন্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকল সম্প্রদায়ের একটি শান্তি র্যালী বের করা হয়।
এদিকে রাঙামাটি শহরে ১৪৪ ধারা বিকাল ৫টা পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হয়। ৫টার পর থেকে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে বলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ঘোষণা দেন। এর আগে সকাল ৭টায় কারফিউ তুলে নেয় জেলা প্রশাসন।