রাশিয়ায় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়ার ঘোষণা কিমের

fec-image

রাশিয়ায় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়ার ঘোষণা দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের আমুরে অবস্থিত ভোসতোচনি রকেট ও মহাকাশ কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে এই ঘোষণা দেন। দুজনের বৈঠক কেন্দ্র করে এলাকাটিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

উত্তর কোরিয়াকে স্যাটেলাইট তৈরিতে কিমকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন পুতিন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় নিউজ এজেন্সি। এ সময় অস্ত্র চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে কিনা কিমের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেছেন, সব বিষয়েই আপনার সঙ্গে আলোচনা হবে।

আনুষ্ঠানিক বৈঠকে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার সমর্থন জানিয়েছেন কিম জং। তিনি পুতিনকে বলেছেন, ‘আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে রাশিয়া তার সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় পবিত্র লড়াইয়ে নেমেছে। উ. কোরিয়া পুতিনের যে কোনও সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানায়।’

গেল আগস্টে ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের চিঠি বিনিময় হয়েছিল। চিঠিতে দুই নেতা দীর্ঘদিনের দ্বিপক্ষীয় কৌশলগত সম্পর্ক জোরদারের অঙ্গীকার করেছিলেন। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই চালানো এবং সাম্রাজ্যবাদ ধ্বংসের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। নতুন করে পুতিনকে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিলেন কিম।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কসমোড্রোমে কিমকে স্বাগত জানান পুতিন। ২০১৯ সালের পর তাদের মুখোমুখি দেখা। প্রথমে পুতিন কিমকে বলেন, ‘আপনার ব্যস্ত সময় সূচিতেও আমাদের আমন্ত্রণ গ্রহণের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনাকে দেখে আমি খুবই খুশি হয়েছি। এটি আমাদের নতুন কসমোড্রোম।’

দুই দেশের মধ্যে কিছু স্পর্শকাতর ইস্যুতে আলোচনা এবং চুক্তি হবে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। তবে বিষয়গুলো প্রকাশ করা হবে না বলে জানান ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। অস্ত্র নিয়ে কোনও চুক্তি হচ্ছে কিনা, এ বিষয়ে পেসকভ মন্তব্য করেননি তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র ধারণা করছে, ইউক্রেন যুদ্ধে হামলার গতি বাড়াতে উত্তর কোরিয়া থেকে অস্ত্র নিতে চাইছেন পুতিন। এ জন্য কিমের সঙ্গে তার একটি গোপন অস্ত্র চুক্তি হতে যাচ্ছে।

দুই নেতার শীর্ষ সম্মেলনে ছোট বোন কিম ইয়ো জং’কে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা। সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতেই তাকে রাখা হয়েছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু গত মাসে পিয়ংইয়ং সফরের সময় অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। কারখানায় পরিদর্শন করেন তিনি। তখন থেকেই সম্ভাব্য অস্ত্র ক্রয়ের বিষয়টি সামনে এসেছে।

সূত্র: সিএনএন, আল জাজিরা, বিবিসি

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়া, সাম্রাজ্যবাদ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন