আলীকদমে লে. কর্নেল মো.সাব্বির

‘সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বন্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে’

fec-image

বান্দরবানের আলীকদমে সেনাজোন (৩১ বীর) কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নগদ আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১১টায় আলীকদম সেনাজোনের ক্যান্টিন সংলগ্ন হলরুমে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, এতিমখানার শিক্ষক শিক্ষার্থী, গরিব ও দুস্থ পরিবারসহ উপজাতীয় মুসলিম কল্যাণ সংস্থা এবং আলীকদম মুরং কমপ্লেক্সে ছাত্রছাত্রীদের খাবার বিল বাবদ আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

আসন্ন দুর্গোৎসব ২০২৩ উপলক্ষ্যে ৭টি পূজা মন্ডপকে বিশেষ অনুদান প্রদানসহ সর্বমোট ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬০৮ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, জোন কর্তৃক প্রতিমাসেই এসকল প্রতিষ্ঠানকে অনুরূপ অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লে. কর্নেল মো. সাব্বির হাসান, পিএসসি, জোন কমান্ডার আলীকদম জোন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আলীকদম জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. শওকাতুল মোনায়েম, পিএসসি; উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম, ভাইস চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান শিরিনা আক্তার, আলীকদম সদর ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দীন, ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, ইউপি চেয়ারম্যান এম কফিল উদ্দিন ইউপি চেয়ারম্যান ক্রাত পুং ম্রোসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা প্রদানের পর আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আলীকদম সেনাজোন দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, সামাজিক অবকাঠামোর উন্নয়ন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, পাহাড় কাটা রোধ করা, অবৈধ কাঠ পাচার, বাজারের নিয়ম শৃঙ্খলা রক্ষা, মাদকদ্রব্য চোরাচালান ও শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়সহ অত্র এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য বেসামরিক প্রশাসন ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছে এর অংশ হিসেবে আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসবাদ নিরসনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণের ভূমিকা প্রসংশনীয়। আলীকদম সেনা জোন দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সকলের মধ্যে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ করলেও কিছু কিছু আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরোধিতা করে আসছে। তারা সর্বদা সাধারণ জনমনে সেনাবাহিনী তথা নিরাপত্তা বাহিনী সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদানের মাধ্যমে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করছে। স্থানীয় কিছু বিপথগামী জনগণ তাদেরকে সহায়তা করে থাকে। বাঙালি এবং অন্যান্য সকল সম্প্রদায়ের জনগণ যেন একযোগে সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় তার জন্য আমি আহবান করছি। তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বন্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আপনাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংগঠিত হলে বা সংগঠিত হওয়ার পূর্বাভাস পেলে সাথে সাথে সেনা জোনকে অবহিত করবেন। সেনা জোন তাদের প্রতিহত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়াও অত্র এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং জোন কর্তৃক শিক্ষা সহায়তা, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, বন্যা দুর্যোগ মোকাবেলা, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা সম্পর্কে অলোচনা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল স্তরের আপদকালীন সময় ছাড়াও ধর্মীয় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সবসময় সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করে আসছে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য এলাকার সাধারণ জনগণের মাঝে পাশে থেকে যেকোন প্রয়োজনে সর্বদা নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: সেনাবাহিনী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন