সমাবেশের জন্য তৈরি বিএনপি, আওয়ামী লীগও থাকবে মাঠে

fec-image

সমাবেশস্থল নিয়ে দু’দিন ধরে বিভিন্ন অশ্চিয়তার পর শুক্রবার (২৮ জুলাই) ঢাকার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবশে করতে যাচ্ছে দলটি। এজন্য বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী নয়া পল্টন ও তার আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। বিএনপির সমাবেশস্থল থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিনটি সহযোগী সংগঠন।

সমাবেশে বেশি লোকসমাগম ঘটাতে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ ব্যাপক তোড়জোর করেছে গত দু’দিন ধরে।

সমাবেশকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবারই ঢাকায় আসতে শুরু করেন।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের মিছিল নিয়ে যোগ দিতে দেখা যায় নয়া পল্টনের সমাবেশস্থলে।

দু’দলের পাল্টাপাল্টি জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।

বিএনপি অভিযোগ করছে, সমাবেশের আগে দু’দিনে তাদের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘নিয়মিত অভিযানের অংশ’ হিসেবে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রো পলিটন (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘আশুরার প্রস্তুতির মধ্যে দুই বড় দলের সমাবেশ হচ্ছে। তাই সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে সন্দেহজনক ব্যক্তি, নিয়মিত মামলার আসামি ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করছি আমরা। এটি আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ।’

বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ঢাকায় প্রবেশের পয়েন্টগুলোতে থাকা চেকপোস্টে পুলিশকে তল্লাশি করতে ও যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায়। ওই সময় থেকে গাবতলী, সাভার, টঙ্গীসহ বিভিন্ন এলাকায় গণপরিবহন অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যেতে দেখা যায়।

গণপরিবহনের পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আবাসিক হোটেলেও পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেফতার করেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকা। এসব আবাসিক হোটেল থেকেও মূলত বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদেরই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে উঠে এসেছে পত্রিকাগুলোর খবরে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিএনপি কার্যালয়ের আশপাশে দলের নেতাকর্মীদের জড়ো হতেও বাধা দিতে দেখা যায় পুলিশকে। সকাল থেকেই নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিপুল পরিমাণ পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে।

আওয়ামী লীগের তিনটি সহযোগী সংগঠন ও বিএনপিকে বেশকিছু শর্ত দিয়ে শুক্রবার সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে নয়া পল্টনে তাদের কার্যালয়ের সামনে ও আওয়ামী লীগের সংগঠনগুলোর সমাবেশ হবে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ প্লাজায়।

সমাবেশ স্থলে ব্যাগ বা লাঠি নিয়ে প্রবেশ করা, রাষ্ট্রদোহী বক্তব্য না দেয়া, নির্ধারিত সীমানার বাইরে না যাওয়াসহ মোট ২৩টি শর্ত দেয়া হয়েছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনকে। দু’দলের সমাবেশস্থলে পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি ও আনসারও মোতায়েন থাকবে বলে জানানো হয়েছে ডিএমপির পক্ষ থেকে।

বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সমাবেশ ছাড়াও বিএনপির সাথে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ৩৭টি দলও আলাদাভাবে আজ সমাবেশ করবে।
সূত্র : বিবিসি

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী লীগ, বিএনপি, মাঠ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন