১৯ দিন পর আনা হলো আরব আমিরাতে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত রামুর ছৈয়দ আলমের মরদেহ : জানাযা সম্পন্ন

ramu pic 10.7

রামু প্রতিনিধি :

সংযুক্ত আরব আমিরাতে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের পশ্চিম মনিরঝিল গ্রামের ছৈয়দ আলম নামের এক যুবকের মরদেহ ১৯ দিন পর দেশে নিয়ে আসা হয়েছে। গত ২২ জুন তিনি দুবাইতে মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারান।

পরে রামু-কক্সবাজার আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী মো. হাসান বাবুলের সহযোগিতায় ছৈয়দ আলমের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। বৃহষ্পতিবার ভোরে তাঁর মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে শতশত জনতা তাকে এক নজর দেখার জন্য ছুটে যান।  
সকাল দশটায় পশ্চিম মনিরঝিল দরগাহপাড়ায় তাঁর নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা ও রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আলম চৌধুরী, রাজারকুল ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ফরিদুল আলম ও আলী হোছাইন, আওয়ামীলীগ নেতা জসিম উদ্দিন প্রমূখ।

উল্লেখ্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ছৈয়দ আলম (২৮) রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের পশ্চিম মনিরঝিল গ্রামের ইমাম শরীফের ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি বাবা, মা,  ৪ ভাই, ৩ বোন রেখে যান।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ৩ বছর আগে ভিসা নিয়ে ছৈয়দ আলম সংযুক্ত আরব আমিরাত যান। সেখানে কর্মক্ষেত্র থেকে ফেরার সময় রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে একটি প্রাইভেট কারের চাকায় পিষ্ট হন তিনি। এতে ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়।

এদিকে ছৈয়দ আলমের বাবা ইমাম শরীফ জানিয়েছেন, তার মতো হতদরিদ্র বাবার পক্ষে ছেলের মরদেহ দেশে আনা সম্ভব ছিলো না। রামুর কৃতি সন্তান, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এবং রাজারকুল ইউনিয়নের ডা. শাহ আলমের ছেলে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী মো. হাসান বাবুলের সহযোগিতায় তার ছেলের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এজন্য তিনি তাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন