“৮২ হাজার ভারতীয় ও মিয়ানমার নাগরিক পুনর্বাসনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে দেওয়া যাবে না”

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

পার্বত্য জেলা শ্রমিক পরিষদের নেতারা বলেছেন, ৮২ হাজার ভারতীয় ও মিয়ানমার নাগরিককে উদ্বাস্তু পুনর্বাসন করার যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছেন, আমরা মনে করি এটা নিরীহ পার্বত্যবাসীর জন্য “মরার উপর খাড়ার ঘা” হতে পারে। তাই এ উদ্যোগ কোনো কিছুতেই বাস্তবায়ন করতে দেওয়া যাবে না।

তিন পার্বত্য জেলা শ্রমিক পরিষদ রাঙামাটি  জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বাবু বিশ্বজিৎ সেন সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৮২ হাজার ভারতীয় ও মিয়ানমার নাগরীককে উদ্বাস্তু সাজিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে “পুনর্বাসন ষড়যন্ত্র” বন্ধের দাবি ও গুচ্ছগ্রামে বন্দী থাকা ৩৮ হাজার বাঙালী পরিবারকে পুনর্বাসন করার দাবীতে বুধবার(১৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে এগারোটায়  শ্রমিক পরিষদের পক্ষ থেকে অস্থায়ী কার্যালয়, শ্রমিক পরিষদের জেলা সাধারণ সম্পাদক বাবু বিশ্বজিৎ সেন, এর ভেদভেদী এলাকার নিজ বাসায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পার্বত্য অধিকার ফোরাম এবং বৃহত্তর পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ কর্তৃক যেসব আন্দোলনের ডাক দিবেন, পার্বত্য শ্রমিক পরিষদ স্বক্রিয়ভাবে সমর্থন করে যাবে বলে বক্তাগণ সিদ্ধান্ত নেন । কারণ বক্তাগণ মনে করেন, পার্বত্য নিরীহ জাতির জন্য যারা ভূমিকা রাখবে তাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা করা পার্বত্য শ্রমিক পরিষদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।

জেলা সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, সামনের দিনগুলো আমাদের সকলকে কঠিনভাবে মোকাবিলা করতে হবে। তাই দলমত নির্বিশেষে সকল পার্বত্যবাসীকে এই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য আহবান করা হচ্ছে। বর্তমান সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের ঝনঝনানি, চাঁদাবাজদের আক্রমণে নিরীহ পার্বত্যবাসী খুবই কষ্টে দিন যাপন করছে।

পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করে দেশের মূল স্রোতে এগিয়ে নিতে অনুষ্ঠানে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। ১। অখণ্ড বাংলাদেশের স্বার্থে ৮২ হাজার ভারতীয় ও মিয়ানমার নাগরিককে পার্বত্য চট্টগ্রামে “পূর্নবাসন ষড়যন্ত্র” বন্ধের নির্দেশ প্রদান, ২। অবিলম্বে গুচ্ছগ্রামে বন্দি ৩৮ হাজার বাঙালী উদ্বাস্তু পরিবারকে সরকারের বরাদ্দকৃত ৫.০০ একর জায়গায় পূনর্বাসন করতে হবে, ৩। অবিলম্বে বাঙালী নেতৃবৃন্দ কে সাথে নিয়ে প্রকৃত উদ্বাস্তুদের তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে, ৪। উপজাতীয় সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ কর্তৃক গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর’১৮ ইং তারিখ পর্যন্ত বাঙালী উচ্ছেদ মিশনে মন্দির ও
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে জোরপূর্বক দখলকৃত ভূমি ফেরত দিতে হবে, ৫। উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নির্মূলে অবৈধ উদ্ধার ও তাদের নির্মূলে চিরুনী অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

পার্বত্য শ্রমিক পরিষদের জেলা সভাপতি রাসেল ইসলাম সাগরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বাবু বিশ্বজিৎ সেন এর  সঞ্চালনায় উক্ত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, আরও বক্তব্য রাখেন জেলা সহ-সভাপতি মো. বাদশা মিয়া সহ প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, উল্লেখিত দাবী সমূহ অধিকার ফোরাম তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিকামী সকল জাতিগোষ্ঠিদেরই প্রাণের দাবি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন