দীর্ঘদিন পর গর্জনিয়া বাজারের অলি-গলি অবৈধ দখল মুক্ত
নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:
অবৈধ দখলে থাকা অলি-গলি দীর্ঘদিন পর দখল মুক্ত হয়েছে রামুর গর্জনিয়া বাজারের। রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের তত্ববধানে এ সব রাস্তা-ঘাট অবৈধ দখল মুক্ত হয় ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার হাটের দিন সকালে।
এছাড়া এ বাজারের দুর্গন্ধময় নালা-নর্দমাও পরিস্কার করে পানি চলাচলের ব্যবস্থাও করেন তারা।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি একাধিকবার সরকারী কাজে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহজাহান আলী কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে আসেন। এসময় তিনি গর্জনিয়া বাজার পরির্দশন করেন একাধিকবার। এসময় তিনি দেখতে পান এ বাজারটিতে সরকারের কোন নিয়ম নীতির বালাই নেই। ক্রেতা সাধারণ অতি কষ্টে নিজেদের প্রয়োজন মেটাচ্ছিলেন দিনের পর দিন।
এছাড়া রামু উপজেলার বৃহৎ বাজার হিসেহে যে ঐতিহ্য রয়েছে তা হারিয়ে যেতে বসেছে এ বাজারের। এমন অবস্থা স্বচক্ষে দেখে তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন যেন অতি সত্বর এ অবস্থার উত্তোরণ ঘটানো হয়। আর ব্যবসায়ীদেরও সর্তক করে দেন পাশাপাশি।
এরই প্রেক্ষিতে কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু মো. ইসমাঈল নোমান গত ক’দিন ধরে পর্যাপ্ত শ্রমিক লাগিয়ে গর্জনিয়া বাজারকে নতুন রূপে সাজিয়ে এক ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি করেন। পাশাপাশি বাজারের অলি গলিতে জমে পচেঁ দূর্গন্ধময় পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করে দেন তিনি।
ফলে সব কিছুতে এক ধরনের নাগরিক সুবিধা পাওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হয়। এতে ক্রেতা সাধারণ দারুণ খুশি হয়ে সাধুবাদ দেন সংশ্লিষ্টদের।
এ বিষয়ে কচ্ছপিয়ার চেয়ারম্যান বলেন, আসলেও এ বিষয়টি অতি জনগুরুত্বপূর্ন। এ বাজারে নিয়মিত লোক জমায়েত থাকে অন্তত কয়েক হাজার। আর হাটের দিন অন্তত ৫/৬ হাজারের অধিক লোক এখানে দূর দূরান্ত থেকে কেনা-কাটা করতে আসে।
আর এ অবস্থায় তিনি অনেকবার অবৈধ দখলদারদের বাজারের অলি-গলি দখল মুক্ত করে দিতে নির্দেশ দিলে তারা অল্প সময়ের জন্যে এ নির্দেশ পালন করেন। পরবর্তীতে পুনরায় পূর্ব বহাল করে বাজারের অবস্থা খারাপ করে ফেলে কতিপয় ব্যবসায়ী।
আর এ অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কঠোর অবস্থানে বর্তমানে এ বাজার পরিচ্ছন্ন ও দখল মুক্ত হয়।