বান্দরবানে ভেঙ্গে ফেলা হলো মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ
নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:
বান্দরবানে পার্বত্য জেলা পরিষদের চত্ত্বরে স্থাপিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পণ করতে পারবেনা মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ। বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা জানানোর আগমূহুর্তে পুনঃনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ ভাঙ্গা হলো।
এঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদরা। স্মৃতি স্তম্ভের পরিবর্তে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিজয়ের পুস্পমাল্য অর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা পরিষদ।
সরজমিনে দেখাযায়, ৮-১০জন শ্রমিক মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভে ভাঙার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিওবা এখনো মূল স্তম্ভ ভাঙ্গা হয়নি।
জানা গেছে, আট বছর আগে পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে পরিষদ চত্ত্বরে লেকের পাড়ে নির্মাণ করেছিল। স্থানীয় ও দেশ বিদেশের শতশত ভ্রমন পিপাসুরা সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে যেত। বিজয় দিবসের আগেই পুনঃনির্মাণ ও আধুনিকায়নের জন্য ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প গ্রহণ করে জেলা পরিষদ।
জেলা শহরে প্রতিবছর বিজয়ের পতাকা উড়ে এবং পুস্পমাল্য অর্পণ করে মুক্তিযোদ্ধা-রাজনীতিবিদসহ সর্বস্তরের জনগণ।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, প্রতি বছর আমরা পুস্পমাল্য অর্পণ করি। কিন্তু বিজয় দিবসের আগমুহুর্তে এটি ভেঙে ফেলা দুঃখজনক। কর্তৃপক্ষ দায়ীত্ববান হলে বিজয় দিবসের পরে স্থাপনাটি ভেঙে পুনঃনির্মাণ কাজ করতে পারতো। এটি মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানের সামিল।
পার্বত্য জেলা পরিষদ বান্দরবানের নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুল আবছার জানান, বিজয় দিবসের আগমুহুর্তে নয়, আধুনিকায়ন ও পুর্ননির্মাণের অনেক আগেই কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। স্মৃতিস্তম্ভটি ভেঙে ফেলায় জেলার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিজয়ের পুস্পমাল্য অর্পণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।