রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম স্থবির হওয়ার শঙ্কা


অন্যতম শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতা, আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস্ (এআরএসপিএইচ) এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম ‘ বাদী ও সাক্ষীর অনুপস্থিতিতে’ স্থবির হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মামলার বাদীসহ পরিবারের ২৫ সদস্য কানাডা চলে যাওয়ায় এই শঙ্কা।
গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কুতুপালং-১ (ইস্ট) লম্বাশিয়া ক্যাম্পের ডি-৮ ব্লকে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন মুহিবুল্লাহ। এ ঘটনার পট পরিবর্তনের পর গত রোববার কানাডার উদ্দেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছাড়েন মুহিবুল্লার পরিবারের ১৪ সদস্য। এর আগে গত ৩১ মার্চ মুহিবুল্লাহর স্ত্রী ও সন্তানসহ পরিবারের ১১ জন সদস্যকে কানাডা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ফরিদুল ইসলাম পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), বলছেন, মামলাটি সাক্ষীর পর্যায়ে এলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চাওয়া হবে। যাতে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে সাক্ষ্য নেয়া হতে পারে। সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে না এলে বিচার কার্যকম স্থবির হয়ে পড়বে বলেও জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।
মুহিবুল্লাহ নিহতের ঘটনার পর দিন তার ভাই হাবিব উল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করে উখিয়া থানায় । মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাহ উদ্দিন। তিনি ২৯ জনের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১৩ জুন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ২৯ আসামির বিচার শুরু হয়। জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।