কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ের মধ্যে দিয়ে সর্বসাধারণের চলাচলের কারনে নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ

kaptai school road (1)

কাপ্তাই প্রতিনিধি:

ঐতিহ্যবাহী কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়টি দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবত এলাকায় সুনামের সাখে জ্ঞানের আলো দিয়ে আসছে। কিন্তু এই বিদ্যালয়টির খেলার মাঠের মাধ্যদিয়ে সর্বসাধারণের যাতায়াত, গাড়ি চলাচল করার কারনে প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীর অভিভাবক বিদ্যালয়ের খোলামেলা পরিবেশের অজুহাতে শিক্ষার্থীদের অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, দেশের মধ্যে এমন কোন বিদ্যালয় খুঁজে পাওয়া যাবেনা যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠের ভিতর দিয়ে রাত-দিন জনসাধারণ যাতায়াত করে।

শিক্ষার্থী ফাহিম ফয়সাল সাকিব, নাসরিন সুলতানা মুনমুন, এনামুল হক টিপু, রনি দত্ত মাফিয়া ইসলাম অভিযোগ করেন, স্কুলের মধ্যে দিয়ে গাড়িসহ বিভিন্ন যান চলাচলের ফলে আমাদের পড়ালেখার পরিবেশ বিঘ্ন হচ্ছে। আমরা শিক্ষার পরিবেশ ফিরে পাওয়ার জন্য এ যাতায়াত বন্ধসহ প্রতিষ্ঠানটির চারপার্শে দেওয়ালের দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে কাপ্তাই উচচ বিদ্যালয়ে অভিভাবক কমিটির সদস্য কাজী সামসুল ইসলাম আজমির, কাজী মাকসুদুর রহমান বাবুল, আবদুস সুবাহান, জাহাঙ্গীর আলম, বেলাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন বলেন, বিদ্যালয়টির চারপাশ খোলামেলা থাকার কারনে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমরা চাই সর্বসাধারণের যাতায়াত স্কুলে ভিতর দিয়ে বন্ধ করে অন্যত্র বিকল্প সড়ক দিয়ে চলাচল করার জন্য প্রশাসন সুযোগ করে দিলে শিক্ষার্থীদের জন্য ভাল হয়।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, স্কুলের ভিতর দিয়ে সর্বসাধারণ যাতাযাত করায় আমাদের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমারা বিদ্যালটির পাড়াশুনার সুষ্ঠু পরিবশে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কমনা করছি। তিনি আরো বলেন, ভাল শিক্ষার্থীদের অভিভাবক মহল বিদ্যালয়ের এমন এ পরিবেশের জন্য শিক্ষর্থীদের অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে আমরা আবার স্কুলের পরিবেশ এবং ঐতিহ্য ফিরে পাব।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি দিলদার হোসেন বলেন, একটি মাত্র বাউন্ডারি জন্য শিক্ষার্থীদের লেখা পড়া নষ্ট হচ্ছে। অচিরেই এই বাউন্ডারির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন তিনি।

কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌ. আবদুল লতিফ বলেন, শিক্ষার পরিবেশ ফিরে পাওয়ার জন্য অচিরেই এ সড়কটি বন্ধ করে দিয়ে আমরা বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা করার চিন্তভাবনা করছি। বিদ্যালয়ের মধ্যে দিয়ে সাধারণের যাতায়াত সবচেয়ে দু:খের বিষয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন