টেকনাফে বিজিবি-চোরাকারবারি সংঘর্ষ, এক চোরাচালানি গ্রেপ্তার
আবদুল্লাহ নয়ন, কক্সবাজার:
কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সাথে চোরাকারবারিদের সংঘর্ষ হয়েছে। চোরাকারবারিদের হামলা দমাতে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেন। ওই সময় মিয়ানমারে পাচারকালে চিনি, ময়দা ও নৌকাসহ এক চোরাকারবারিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত চোরাকারবারি মোহাম্মদ সাদেক (২০) উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকার নুরুল বশরের ছেলে।
শনিবার ভোর রাতে হ্নীলার জাদিমুরা সংলগ্ন নাফ নদী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
বিজিবির টেকনাফস্থ ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ জাহিদ হাসান সাংবাদিকদের জানান, বিজিবির দমদমিয়া সীমান্ত চৌকির হাবিলদার তরিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল গোপন সংবাদের সূত্র ধরে হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা সংলগ্ন নাফ নদী এলাকায় যান। ওই সময় চোরাকারবারিরা অতর্কিত তাদের উপর হামলা চালায়।
তিনি জানান, বিজিবি সদস্যরা চোরাকারবারিদের দমাতে অন্তত ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেন।
দমদমিয়া সীমান্ত চৌকির (বিওপি) হাবিলদার তরিকুর রহমান জানান, চোরাকারবারিরা চোরাইপণ্য ফেলে পালানোর সময় মোহাম্মদ সাদেক নামের এক চোরাচালানিকে আটক করা হয়।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে ২০ বস্তা চিনি, ১৯ বস্তা ময়দা ও একটি কাঠের নৌকা জব্দ করা হয়। জব্দ হওয়া পণ্যের দাম এক লাখ ৮ হাজার ২৫০ টাকা। ওই সব পণ্য মিয়ানমারে পাচার হচ্ছিল।
বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্ণেল জাহিদ হাসান জানান, উদ্ধার হওয়া চোরাই পণ্য সরকারের শুল্ক বিভাগে জমা দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরার মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ সিরাজসহ (২০) ৯ জনকে পলাতক দেখিয়ে চোরাচালান দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।